২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

কেন্দুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

-

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমির দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে জেলার কেন্দুয়া পৌর এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শেষে সেনা সদস্যেদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল ও গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে কেন্দুয়া পৌর এলাকায় সোহেল আমিন নামে এক ব্যক্তির দোকানের জায়গা দখল করেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির খন্দকারের বড় ভাই আল আমিন খন্দকার ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক উজ্জ্বল খন্দকারের নেতৃত্বে দলীয় লোকজন। অপর দিকে দোকান মালিকের পক্ষ নিয়ে উপজেলা বিএনপি সভাপতি জয়নাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তার সমর্থিত দলের একাংশের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তর্র্কবিতর্কের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করলে সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষে লিপ্ত উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল হিলালীর আশীর্বাদপুষ্ট বলে জানা যায়। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম হিলালীর মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সংঘর্ষে বাট্টা গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে রনি (২২) ও ছিলিমপুর গ্রামের আনছার উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম( ৫১) গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ রনি (২২), রফিকুল ইসলাম (৫১)সহ আহত শাওন খন্দকার (৩৩), বাবর (২৭), রফিকুল হক (৪০) ও বাবুকে (২১) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কেন্দুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন একজন। নেত্রকোনা সদরসহ বিভিন্ন চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্য আহতরা।


আরো সংবাদ



premium cement