১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

অনিয়ম, দুর্নীতি ধরিয়ে দেবার জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জরুরি : ক্রীড়া উপদেষ্টা

- ছবি : বাসস

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও শুরু হয়েছে সংস্কার কার্যক্রম। তারই অংশ হিসেবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। ক্রীড়াঙ্গনে অনিয়ম, দূর্নীতি ধরিয়ে দেবার জন্য সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী রিপোর্টের ওপর জোড় দেবার আহ্বান জানিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। পাশাপাশি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতারও আহ্বান জানিয়েছেন।

দেশের বিভিন্ন মিডিয়ার ক্রীড়া বিভাগের প্রধান, যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক, দেশের শীর্ষ ক্রীড়া সাংবাদিকরা এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুচিন্তিত মতামত এসময় সাংবাদিকদের কাছ থেকে উঠে এসেছে। যার আলোকে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।

শুরুতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নানা আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত হয়েও এই বোর্ডের উপর এনএসসির তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অভিভাবক সংস্থা হয়ে ক্রিকেট বোর্ডের অডিটের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফেডারেশন ও সকল ক্রীড়া সংস্থার অভিভাবক। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নিজের সেই স্বকীয়তা হারিয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারেই যেন ক্রীড়া পরিষদের পূর্ণ মনোযোগ। অবকাঠামো খাতে টেন্ডার প্রক্রিয়া ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এসব প্রক্রিয়ায় সরকারি দলের প্রভাব ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী যুক্ত থাকার অভিযোগ বেশ পুরনো। ফেডারেশনের সংস্কারের পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনিয়ম তদন্তের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আয়ের অন্যতম উৎস স্টেডিয়ামে দোকান। সেই দোকান থেকে ইজারাদার অনেক অর্থ পেলেও খোদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই আয় থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ভাড়া দেয়া দোকানের প্রকৃত মালিকের নাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশের দাবি উঠেছে আলোচনা সভায়।

বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আর্থিক অনিয়মের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে। সারা বছর গুটিকয়েক প্রতিযোগিতা আয়োজনে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকায় এই সংস্থা থেকে কখনই কোন জাতীয় দলের খেলোয়াড় উঠে আসেনি। তাহলে এই ধরনের সংস্থা চলমান থাকার আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কিনা সেই বিষয়টিও উত্থাপিত হয়েছে।

সাংবাদিকদের মতামত, পর্যবেক্ষণ ও অভিযোগ শুনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন,‘আপনাদের গঠনমূলক মন্তব্য আমরা পর্যালোচনা করব। ক্রীড়াঙ্গনে আপনারা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছেন। আপনাদের পর্যবেক্ষণকে আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি। এজন্য সার্চ কমিটিতে দুইজন এবং জেলা পর্যায়েও ক্রীড়া সাংবাদিক প্রতিনিধি রেখেছি। সার্চ কমিটি ফেডারেশনগুলো পর্যালোচনা করে আমাদের প্রতিবেদন দেবে। আমরা এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘দুর্নীতি মূলত হয় সিন্ডিকেট গঠন করার কারণে। প্রতিটি জায়গায় যাদের দায়িত্ব দেয়া হয় তারা নিজেদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে ফেলে। সেভাবেই নিজেদের মধ্যে ভাগ ভাটোয়ারা করে সবকিছু পরিচালনা করে। সিন্ডিকেট যাতে না হতে পারে সেরকম একটা ব্যবস্থা করা হবে। আমরা তো প্রতিটি জায়গায় কিংবা উপজেলায় ধরে ধরে ঠিক করতে পারবো না। সেই জায়গায় সিন্ডিকেট যেন না হতে পারে সেই ব্যবস্থা হিসেবে স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক, ছাত্র প্রতিনিধি রেখেছি। উপজেলাগুলোতে যেসব ছাত্র প্রতিনিধি ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করে, তাদের রাখা হচ্ছে।’

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগকে সহায়তা করবে জার্মানি : রাষ্ট্রদূত সংস্কার শেষে জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া হবে ভয়াবহ দাবানলে ঘর ছাড়তে পর্তুগালের বহু মানুষ ৬ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করবে সরকার রাজনীতিবিদদের সংস্কার হওয়ার আহ্বান ড. মঈন খানের অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার পাচ্ছেন ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ টাকা সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে যে সব প্রশ্ন সামনে আসছে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে না : রফিকুল ইসলাম খান ১১ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রোরেল চলাচল নারায়ণগঞ্জে আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক ওরিয়নের ওবায়দুল করিম পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সকল