০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

অপরাধীদের রুখতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ছবি - ইন্টারনেট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশব্যাপী সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের অপরাধীরা যাতে বিচারের মুখোমুখি হয় ও শাস্তি পায় তা নিশ্চিত করতে দেশবাসীকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেছেন, ‘দেশের জনগণকে এই অপরাধীদের বিচার করতে হবে, আমি তাদের কাছে বিচার চাইছি।’

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মেট্রোরেল নির্মাণের সাথে জড়িতরা এমন ধ্বংসযজ্ঞ দেখে চোখের পানি ফেলছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেন তারা এটা করল? এ দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং আমি তা করে দেখিয়েছি, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।’

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ যখন পরবর্তী স্তরে উন্নীত হচ্ছে, তখন দেশকে পেছনে টেনে নিতে চাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেন, এটা আমার প্রশ্ন এবং আমি জানি না এর উত্তর কে দেবে।’

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি আরো বলেন, জনগণকে সেবা, সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্য দিতে যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণ করতে সরকারকে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে এবং এটি নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মাণ করা হয়েছিল।

যাদের আগে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো, মেট্রোরেল সেই গণমানুষের দুর্ভোগ লাঘব করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলে কেন এ ধরনের হামলা হচ্ছে, সেটাই আমার প্রশ্ন।’

মেট্রোরেল ও এর সেবা আন্তর্জাতিক মানের বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কী ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখলাম এখানে! এ দেশের মানুষ এটা করতে পারে- এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিন্তু এখানে সেটা করা হয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র এই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি জানান, গত ১৫ বছরে তিনি মানুষের কল্যাণ ও সুখের জন্য সবকিছু করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা, শিক্ষা ও যোগাযোগ নিশ্চিত করেছি। এসব উন্নয়নের সুফলভোগী কারা? দেশের গণমানুষ। মেট্রোরেলের ওপর এত ক্ষোভ কেন, সেটাই আমার প্রশ্ন।’

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বোঝাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে যে বিষয়টি আদালতে রয়েছে এবং তাদের যেন হতাশ না হতে হয় সেজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কিন্তু শীর্ষ আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত তারা থেমে থাকেনি, ধৈর্য ধরতে রাজি হয়নি। এখন তারা তাদের দাবি আদায় করে নিচ্ছে, প্রথমে এটা এক দফা ছিল, এখন আট দফা।’

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে যে বিএনপি-জামায়াত জোট এ ধরনের তাণ্ডব চালানোর সুযোগ পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী কারা? এই মেট্রোরেল ও ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলো মেরামত করতে কতদিন লাগবে জানি না।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অস্থিরতার সময় ভাঙচুরের শিকার স্টেশনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি।

আজ সকালে পরিদর্শনের সময় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতি এবং পুনরায় চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।

এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে গত ১৮ জুলাই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
এ সরকার জনপ্রত্যাশার কী করবে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন : তাজুল ইসলাম চিফ প্রসিকিউটর আবুধাবির কারাগার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪ বীর কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা : কনস্টেবল গ্রেফতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যৌক্তিক : ফখরুল ‘একটি চক্র জামায়াত আমিরের বক্তব্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে’ অস্ত্র জমা দেয়নি শামীম ওসমান ও গাজী পরিবার এবি পার্টির উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া নিয়ে বিতর্কে মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ আশুলিয়ায় শ্রমিক দলের সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫ রূপগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা

সকল