০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫
`

শরণার্থীদের পুনর্বাসনে পৃষ্ঠপোষক দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন : জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস - ছবি : ইউএনবি

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আত্মমর্যাদার সাথে জীবন পুনর্গঠনের সক্ষমতার জন্য শরণার্থীদের বৈশ্বিক সংহতি প্রয়োজন।

২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন,‘উদার আশ্রয়দাতা দেশগুলো, বেশিরভাগ নিম্ন বা মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শরণার্থীদের সমাজ ও অর্থনীতিতে পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সহায়তা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, শরণার্থীরা সুযোগ পেলে তাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে তাদের সমান সুযোগ এবং চাকরি, আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা এবং তরুণ শরণার্থীদের স্বপ্ন পূরণে মানসম্মত শিক্ষা প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।

জাতিসঙ্ঘ প্রধান বলেন, সুদান থেকে ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে মিয়ানমার এবং এর বাইরেও সংঘাত, জলবায়ু সংকট ও বিপর্যয় বিপুল সংখ্যক মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করছে এবং গভীর মানবিক দুর্ভোগকে উসকে দিচ্ছে।

সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে মোট ১২ কোটিরও বেশি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এর মধ্যে ৪ কোটি ৩৫ লাখ শরণার্থী রয়েছে।

তিনি বলেন,‘বিশ্ব শরণার্থী দিবস হলো তাদের শক্তি ও সাহসকে সম্মান জানানো এবং শরণার্থীদের যাত্রাপথের প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের সুরক্ষা ও সমর্থন করার প্রচেষ্টা জোরদার করা।’

গুতেরেস বলেন,‘আসুন আমরা শরণার্থীদের সহায়তা ও স্বাগত জানানোর বিষয়ে বিশ্বের সম্মিলিত দায়িত্ব পুনর্ব্যক্ত করার অঙ্গীকার করি। আশ্রয় চাওয়ার অধিকারসহ তাদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে শরণার্থী সুরক্ষা ব্যবস্থার সম্পূর্ণতা রক্ষা এবং চূড়ান্তভাবে দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকারগুলোকে বাধ্য করা যায়। যাতে দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতরা ঘরে ফিরে যেতে পারে।’

প্রতি বছর ২০ জুনকে বিশ্ব শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করে থাকে জাতিসঙ্ঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এ বছরের প্রচারাভিযানের মাধ্যমে শরণার্থীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হেয়েছে। এই প্রচারে এমন একটি বিশ্বের কথা বলা হয়েছে যেখানে শরণার্থীদের স্বাগত জানানো হয় এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

২০২৩ সালের শেষের দিকে, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ নিপীড়ন, সংঘাত, সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গুরুতর সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement