২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পুতিন-কিম যে ৩টি কারণে বন্ধু হতে আগ্রহী

- ছবি - বিবিসি

চলতি সপ্তাহেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করতে পারেন বলে তুমুল জল্পনা ছিল। অবশেষে সোমবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে রুশ প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবারেই উত্তর কোরিয়াতে যাচ্ছেন।

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওন সুক ইওলের কাজাখস্তানে রাষ্ট্রীয় সফর ঘিরে গত বুধবার প্রেসিডেন্ট অফিসের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এবং সেখানেই তিনি কথাপ্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের এশিয়ার বিচ্ছিন্ন দেশটিতে সফরের বিষয়টি জানান।

এছাড়া নানান প্রতিবেদনেও দেখা যায় যে পিয়ংইয়ং এরইমধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে।

যদি উত্তর কোরিয়ায় এই সফরটি সত্যি সত্যি ঘটে, তাহলে সেটা হবে দীর্ঘ ২৪ বছর পর প্রেসিডেন্ট পুতিনের সেখানে প্রথম সফর।

সবশেষ ২০০০ সালে তিনি এখানে এসেছিলেন, যখন কিম জং ইল, বতর্মান নেতা কিম জং আনের বাবা ক্ষমতায় ছিলেন।

উত্তর কোরিয়া সফরের জন্য কিমের আমন্ত্রণটি পুতিন গ্রহণ করেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে, যখন দুই নেতা রাশিয়ার একেবারে পূর্ব সীমান্তে ভস্তোচনি কসমোড্রোমে বৈঠক করেন।

রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার দুই নেতার গত বছরের এই বৈঠকটা দেখা হয় দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া হিসেবে, আর এবারের সফরকে বিশ্লেষকরা বলছেন দুই দেশের বন্ধন যে আরো দৃঢ় হয়েছে সেটা বোঝানোর উপলক্ষ।

মনে করা হচ্ছে, এই সফরে প্রধান আগ্রহ থাকবে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কী করে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সে দিকে।

একইসাথে অন্যান্য ক্ষেত্র, যেমন- অর্থনীতি, সংস্কৃতি, কৃষি, পর্যটন ও সামাজিক নানা বিষয়ে কী করে আরো পারস্পরিক আদানপ্রদান বাড়ানো যায় সেদিকেও নজর থাকবে।

বিশেষ করে সবচেয়ে আগ্রহ থাকবে ঠিক কখন প্রেসিডেন্ট পুতিন উত্তর কোরিয়ার সাথে অত্যাধুনিক অস্ত্র আদানপ্রদান এবং তাদের যে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে সে বিষয়টি উল্লেখ করবেন।

সব মিলে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকে শুধুমাত্র আলোচনা নয়, বরং সত্যিকারের ফলাফল আসবে বলে অনেকেই মনে করছেন।

আমরা এক্ষেত্রে তিনটি কারণ তুলে ধরব, যা আসলে পুতিন ও কিমের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে।

১. সামরিক সহযোগিতা : রাশিয়ার চাই অস্ত্র, উত্তর কোরিয়ার দরকার কারিগরি সাহায্য

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর প্রায় আড়াই বছর পর এসে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কারণ দুই দেশই পরস্পরকে নানান সহায়তা সরবরাহ করছে।

কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিফিকেশন ও ডিপ্লোম্যাসির অধ্যাপক ন্যাম সাং উক বলেন, এই মুহূর্তে বৈঠকের অ্যাজেন্ডা থাকবে এই বিষয়টি ঠিক করা যে ‘উত্তর কোরিয়ার তৈরি আরো কী পরিমাণ অস্ত্র ভবিষ্যতে রাশিয়ায় সরবরাহ করা হবে।’

অন্য অনেকের মতে একটা সম্ভাবনা আছে বৈঠকটি শুধুমাত্র সামরিক কিছু চুক্তিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং কী করে উত্তর কোরিয়া গতানুগতিক সব অস্ত্রও সরবরাহ চালু রাখতে পারে ও কী করে যৌথভাবে অস্ত্র তৈরির প্রকল্পের মাধ্যমে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করা যায় - সেটাও আলোচ্য থাকবে।

আরেকটা ধারণা আছে যে রাশিয়ায় সরবরাহ করা অস্ত্রের বদলে উত্তর কোরিয়া শুধুমাত্র জ্বালানি আর খাবারের বিনিময়ে সন্তুষ্ট থাকবে না।

প্রফেসর ন্যামের অনুমান এক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য থাকবে গত মে মাসে সামরিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর রাশিয়ার সাথে আলোচনা করা যে কিভাবে তারা মহাকাশ প্রযুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতা পেতে পারে।

যার মানে হলো আরো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য মহাকাশ প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাশিয়ার সাহায্য চাই উত্তর কোরিয়ার।

এছাড়া পারমাণবিক সাবমেরিন ও স্যাটেলাইট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রাশিয়ার কাছ থেকে সাহায্য চাইতে পারে উত্তর কোরিয়া।

তবে একইসাথে প্রফেসর নাম মনে করেন দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের বিনিময়ের বিষয়টি কখনোই প্রকাশ করা হবে না।

সম্প্রতি ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র প্রবেশ ও রাশিয়ার জন্য সেগুলো হুমকি হয়ে ওঠার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট পুতিন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এমন কী তিনি প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনার কথাও বলেন।

তবে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বিনিময় বা এ নিয়ে সহযোগিতার বিষয়টি, কোরিয়ান পেনিনসুলা এবং উত্তরপূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো দেশগুলো থেকে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

আর সে কারণেই ধারণা করা যায় এই বৈঠকে পারমাণবিক ইস্যুতে কোনো আলোচনাই হয়তো সেভাবে প্রকাশ করা হবে না।

২. অর্থনৈতিক সহযোগিতা: রাশিয়ার চাই শ্রমিক, উত্তর কোরিয়া চায় বিদেশী অর্থ

রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া কী করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো বাড়ানো যায় সেই বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই আলোচনা করবে।

দং-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও কূটনীতির অধ্যাপক ক্যাং দং ওয়ান বলেন, এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার যেটা রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি দরকার, তা হলো কোরিয়ার ‘শ্রমিকরা’ তাদের দেশে গিয়ে বিদেশী মুদ্রা আয় করছে।

এর মানে হলো, রাশিয়ায় আরো শ্রমিক পাঠানোর সংখ্যাটা উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে বাড়তে পারে।

রাশিয়ারও জনশক্তি দরকার যুদ্ধের কারণে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো পুর্ননির্মাণের জন্য।

এছাড়া অর্থনীতি আবারো আগের পথে ফিরিয়ে আনা ও যুদ্ধের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য রাশিয়ার প্রচুর পরিমাণ কর্মী দরকার।

রাশিয়ান গণমাধ্যম ভেদোমস্তি এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ‘দুই নেতা এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন যে উত্তর কোরিয়া থেকে আরো শ্রমিক আনা যায় কি না, কারণ সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকায় ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণের তরুণরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় সেখানে ব্যাপক কর্মী সঙ্কট চলছে।’

কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল থেকে দেয়া নিষেধাজ্ঞায় বলা আছে, উত্তর কোরিয়ার কোনো শ্রমিক দেশের বাইরে কাজ করতে পারবে না এবং যারা আগে থেকে করছে তাদের ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ সালের মধ্যে দেশে ফেরত যেতে হবে।

ফলে নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে রাশিয়ার জন্য এটা কঠিন হবে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর কোরিয়ার কাছে শ্রমিক চাওয়াটা। কারণ এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তুষ্টি তৈরি করবে।

তাই মূলত নজর থাকবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কূটনৈতিক চাপ ও বিরোধীদের নানা চাপের মুখে দুই দেশ কী করে একে অপরের সাথে অর্থনৈতিক সহযোগিতা চালিয়ে নিতে পারে, সে দিকে।

৩. সংস্কৃতির বিনিময় : দুই দেশের পর্যটক চ্যানেল কি খোলা থাকবে?

রাশিয়া উত্তর কোরিয়ায় পর্যটক পাঠানো শুরু করেছিল, যা পরবর্তীতে কোভিড-১৯ এর জন্য বাতিল হয়ে যায়।

পাশাপাশি এ মাসের শুরু থেকে গত চার বছরের মধ্যে প্রথমবার রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস শুরু হয়।

রাশিয়ার প্রিমস্কি ক্রাই অঞ্চলের সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে চার শ’ও বেশি রুশ পর্যটক উত্তর কোরিয়া ভ্রমণ করেছেন।

রাশিয়ার ট্রাভেল অ্যাজেন্সি ভস্তোক ইন্ট্রু তাদের ওয়েবসাইটে উত্তর কোরিয়ায় পাঁচ দিন চার রাতের ট্যুর প্যাকেজ বিক্রি করছে ৭৫০ ইউএস ডলার করে।

এছাড়া উত্তর কোরিয়ায় দলবদ্ধ ভ্রমণের অফারও থাকে এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেটি চাইলে বুকিং দেয়া যাবে।

এই পেজ থেকে পর্যটকদের নানান অফার দেয়া আছে, তার মধ্যে রয়েছে বাকদু পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ, উত্তর কোরিয়ার ইতিহাস নিয়ে ট্যুর এবং উত্তর কোরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ জয়ের বার্ষিকীতে ভ্রমণ প্যাকেজ।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি পর্যটনে জোর দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক কিম দং ইয়াপ। ‘এর কারণ হলো পর্যটন শুধুমাত্র বিদেশী মুদ্রা আয়ের ব্যাপার নয়, এটা মানুষের সাথে মানুষের সরাসরি যোগাযোগে সম্পর্ক উন্নত করে।’

তিনি যোগ করেন রাশিয়ানরা উত্তর কোরিয়া ভ্রমণ করছে এটা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপস্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রফেসর কিম বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে উত্তর কোরিয়ার যে পরিচিতি- এটি একটি নিয়ন্ত্রিত ও ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র - বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ সেই ধারণাগুলো দূর করতে সাহায্য করবে।

এদিক থেকে উত্তর কোরিয়ায় পর্যটনকে দেখা হয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে, যা অর্থনীতির বাইরেও তাদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উন্নয়নের হাতিয়ার।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ায় কিছু গ্রুপ ট্যুর বাতিলের ঘটনা ঘটেছে।

একটি ট্রাভেল অ্যাজেন্সি জানায়, তাদের একটা চারদিনের গ্রুপ ট্যুর যা মে মাসের ৩১ তারিখ থেকে হওয়ার কথা ছিল, সেটা বাতিল হয়েছে পর্যাপ্ত আবেদন না থাকার কারণে।

এছাড়া উত্তর কোরিয়ায় পর্যটকদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা না থাকা ও বিদেশীদের চলাচল সীমিত থাকা – এই সেক্টরের আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রফেসর ক্যাং দং ওয়ানের মতে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার এই বৈঠক দুই দেশের পর্যটন নিয়ে আলোচনার একটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

২০০০ সালের ১৯ জুলাই প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রথমবারের মতো পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং সেখানে প্রেসিডেন্ট কিম জং ইলের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সেটাই ছিল রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

তখন রাশিয়া আবারো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নিজেদের উপস্থাপনের চেষ্টা করছে, আর উত্তর কোরিয়া তাদের দুর্ভিক্ষ ‘আরডিয়স মার্চ’ শেষ হওয়ার পর বর্হিবিশ্বের সাথে যোগাযোগের উপায় খুঁজছে।

সে সময় দুই নেতা উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া যৌথ চুক্তির ঘোষণা দেয়, যাতে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়, যার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়টিও ছিল।

বিশেষ করে সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশ সম্মত হয় যে ‘যেকোনো আক্রমণ বা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দুই দেশ তাৎক্ষণিক একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করবে।’

এরপর রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক এতোটাই দৃঢ় হয়েছে যে, ধারণা করা হচ্ছে সেই চুক্তি যা এখন আর শুধু ‘পারস্পরিক বোঝাপড়া’ নয় বরং দুই দেশের মধ্যে ‘মিত্রতা’ তৈরি করেছে – সেই চুক্তি আবারও নতুন করে নবায়ন করা হবে এবারের বৈঠকে।

অধ্যাপক ন্যাম ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এশিয়ার এই দেশটিতে পুতিনের আগের সফরের সময় উত্তর কোরিয়ার সামরিক আবেদন ছিল সীমিত। কিন্তু এখন যখন ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সামরিক বন্ধন আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। অতীতের চেয়ে এবারের বৈঠক তাই এই দুই দেশকে আরো বেশি কাছে আনবে।’

‘এবার মনে হচ্ছে দুই দেশ নিজেদের মিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে,’ বলেন তিনি।

এছাড়া আরেকটা ব্যাপারও উল্লেখ করেন প্রফেসর ন্যাম, যে আগে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ছিল না, কিন্তু এখন আছে।

‘এখন আন্তর্জাতিকভাবে যেভাবে ভাঙা গড়া চলছে, আবার যুক্তরাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বৈশ্বিক শক্তিও আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে এসেছে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া নিজেদের স্বার্থ, দেশের স্বার্থ উদ্ধারে নতুন কৌশল নিয়ে হাজির হতে পারে।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘যখন আন্ত-কোরিয়ান সম্পর্ক ভেঙে গেছে, সেখানে একটা সম্ভাবনা আছে যে উত্তর কোরিয়া হয়তো একটা নতুন কূটনৈতিক কৌশল নিয়ে হাজির হবে।’

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement