১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ হয়েছে, দাবি ডিএনসিসি’র

কোরবানির বর্জ্য অপসারণ - ছবি : বাসস

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কোরবানির বর্জ্য ছয় ঘণ্টায় শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগে এ সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় পূর্বঘোষিত ছয় ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আমি নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি করপোরেশনকে একসাথে কাজ করতে হবে।’

যারা আজ ঈদের দিন কোরবানি দিতে পারেননি তাদেরকে আগামীকাল সকালের মধ্যেই কোরবানি সম্পন্ন করার আহ্বান জানান তিনি।

মেয়র বলেন, ‘অনেকে সন্ধ্যার পর এমনকি রাতেও কোরবানি দিচ্ছেন তারা আমাদের হটলাইন ১৬১০৬-এ ফোন করে জানাবেন, আমাদের কর্মীরা বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে।’

আজ সোমবার ঈদের দিন দুপুর ২টায় ডিএনসিসির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর সেকশন-২ ব্লক-এইচ রোড নম্বর ৬-এ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে রাত ৮টায় নির্ধারিত ছয় ঘণ্টায় সবগুলো ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করে ডিএনসিসি। ডিএনসিসি’র সবগুলো ওয়ার্ড থেকে ঈদের দিন রাত ৮টা পর্যন্ত ২ হাজার ১০১ ট্রিপে প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

ডিএনসিসি’র বর্জ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫৪টি ওয়ার্ডের সকল এলাকার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সরাসরি তদারকি করেন। দুপুর ২টায় মিরপুরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মিরপুর এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কালশী, বনানী, গুলশান, হাতিরঝিল, মধুবাগ, মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, বাড্ডা, বারিধারা প্রগতি সরণিসহ উত্তরা এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম রাত ৮টা পর্যন্ত সশরীরে পরিদর্শন করেন।

এছাড়াও ডিএনসিসি’র ১০টি অঞ্চলের তদারকি করার জন্য ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১০টি গ্রুপ গঠন করা হয়। ১০টি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানরা। ১০টি গ্রুপ ডিএনসিসি’র ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজে নিয়োজিত ছিল। গুলশান নগর ভবনে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের হট লাইন নম্বর ১৬১০৬।

পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বর্জ্য বিভাগকে এবং তদারকির জন্য গঠিত ১০টি গ্রুপকে আগামীকালও কোরবানির বর্জ্য দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসি’র সকল বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসি’র কাউন্সিলর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement