শততম প্রান্তিকে আরশীনগর
- সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
- ১৫ মে ২০২৪, ১৫:০১
অত্যন্ত পরিশুদ্ধ এবং স্নিগ্ধ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দেশীয় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক প্রতিষ্ঠান আরশীনগর ফাউন্ডেশনের শততম প্রান্তিক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘বায়োস্কোপ’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এক ঝাঁক নবীন ও প্রবীণ শিল্পীদের সমন্বয়ে বসেছিল এই প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের নাট্যাঙ্গণের প্রবাদপুরুষ, অরণ্যকের প্রতিষ্ঠাতা, একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য নাট্যজন মামুনুর রশীদ।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক আবুল কালাম এবং বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সালমা সুলতানা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমাদের শিকড়ই আমাদের সংস্কৃতি। বিশ্বময় এই সংস্কৃতির আলো ছড়াতে এমন সব আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই। আরশীনগরের প্রতিটি আয়োজনে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক আবুল কালাম বলেন, ‘সাংস্কৃতিক বিশ্ব গঠনে আরশীনগর যে ধারায় তাদের সাংস্কৃতিক কর্ম পরিচালনা করে আসছে, সে ধারাকে আরো গতিশীল করতে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সালমা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যময় সংস্কৃতিকে প্রজন্মের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, স্বদেশী সংস্কৃতির চর্চা আরো বাড়াতে হবে।’
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আরশীনগর ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা মিসেস আফরোজা বেগম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান কণ্ঠশিল্পী বৃষ্টি মাসুদ। সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কথাসাহিত্যিক উম্মে হাবিবা মুন্নী।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব কণ্ঠশিল্পী পথিক সবুজের গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান বায়োস্কোপের এবারের আয়োজনে কণ্ঠশিল্পী তাসলিমা কবির রিংকিকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণকারী শিল্পী ছিলেন, সালমা সুলতানা, বৃষ্টি মাসুদ, সৈয়দা সালমা শিরীন, ছন্দা রায়, খ. ম আলী, রওশন আক্তার শেপু, সানি মোল্লা, এম. এ. রুদ্র, তাসলিমা কবির রিংকি, লতা নাহার, বৃষ্টি আক্তার, যারাহ সুবহা গল্প প্রমুখ।
দেশের বহিয়ান প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে নগরীর সংস্কৃতিপ্রাণ দর্শকদের প্রাণময় উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ মিলনায়তন যেনো সেজেছিল সংগীত, নৃত্য এবং আবৃত্তির সাত রঙে। সব আয়োজন যখন শেষ তখনও ইট পাথরের প্রবাহমান নাগরিক জীবনের মানুষেরা যেনো তৃপ্তিময় মন নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আয়োজকেরা আগামী প্রান্তিকের আয়োজন সার্থক করার প্রয়াসে আনন্দপ্রাণ নিয়ে টেনেছেন বর্ণিল উৎসবের যবনিকা।