২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রাচীন পেশা 'ভিস্তিওয়ালা' যেভাবে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হলো

বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানি সরবরাহ করতেন এই পেশাজীবীরা - ছবি - বিবিসি

বর্তমান সময়ে প্রচণ্ড গরমে মানুষের পানির তৃষ্ণা মেটাতে হাতের কাছেই পাওয়া যায় সুপেয় পানির বোতল, বাসাবাড়িতে নিশ্চিত হয়েছে নিরাপদ পানির সরবরাহও। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন সুপেয় পানির জন্য একমাত্র ভরসা ছিল শহরের ‘ভিস্তিওয়ালা’রা। এরাই বাড়িতে বাড়িতে সুপেয় শীতল পানি পৌঁছে দিতেন।

তবে ষাটের দশকেই ঢাকা থেকে বিলুপ্ত হয়েছে এই পেশা। ভারতের কলকাতায় কোনো কোনো এলাকায় অবশ্য এখনো এই পেশা টিঁকে রয়েছে।

অবিভক্ত ভারতের বিভিন্ন জায়গার মতো ঢাকাও খাবার পানির জন্য এক সময় নির্ভর করতে হতো খাল, নদী বা কুয়ার ওপর।

সাধারণত শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীর পানির ওপর নির্ভর করতে হতো ঢাকার নাগরিকদের।

যে সব কুয়া ছিলো তাতেও ছিল সুপেয় পানির অভাব। সে সময় এই ভিস্তিওয়ালারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানি সরবরাহ করতেন।

ভিস্তিওয়ালা কারা?
ঢাকার ইতিহাস নিয়ে লেখা বিভিন্ন গ্রন্থে ভিস্তিওয়ালাদের সম্বন্ধে বলা হয়েছে।

ঢাকায় ভিস্তিদের অস্তিত্ব নিয়ে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের 'ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী' বইতে বিস্তারিত লেখা হয়েছে।

অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘ষাটের দশকে আমিও ভিস্তিওয়ালাদের ঢাকায় দেখেছি। তখন সুপেয় পানির লাইনের সঙ্কট ছিল।’

‘এই পেশার মানুষেরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পানি সরবরাহ করত। তাদের কাছে থাকা একটি চামড়ার বিশাল মশকে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানি দিতেন।’

‘ভিস্তি আবে ভিস্তি’ এরকম হাঁক দিয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানি সরবরাহ করত বলে জানান মুনতাসির মামুন।

ইতিহাসের প্রথম ভিস্তি ছিলেন ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে 'আব্বাস'।

কারবালার প্রান্তরে যুদ্ধের সময় দামেস্কে ইমাম হোসেন ও তার সেনাবাহিনীর জন্য ইউফ্রেটিস নদী থেকে মশকে করে পানি বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় তীরের আঘাতে মারা যান এই ভিস্তিওয়ালা আব্বাস।

এই ভিস্তিওয়ালারা বিভিন্ন ঐতিহাসিক যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। যুদ্ধের সময় তারা তাদের বিশেষ পানির ব্যাগ ‘মশক’ নিয়ে যোদ্ধাদের কাছে গিয়ে তাদের তৃষ্ণা নিবারণ করতো।

আব্বাসের নামানুসারে পরবর্তীতে এই সম্প্রদায়কে 'আব্বাসী' উপাধি দেয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন বইয়ে পাওয়া যায়, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় থেকেই ভিস্তিরা এসেছিল।

আরব থেকে আসা সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠী থেকে যেমন ছিল, তেমনি দলিত সম্প্রদায় থেকে আসা মানুষজনও এই পেশায় নিয়োজিত ছিল।

আরব থেকে আসা মানুষরা মুঘলদের অনুসরণ করে ভারতবর্ষে এসেছিল। পরে উত্তর ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে তারা বসতি তৈরি করে।

এরা আব্বাসী, শেখ আব্বাসী এবং সাক্কা নামে পরিচিত ছিলো। শেখ আব্বাসি আরব গোত্র বনু আব্বাসের অন্তর্গত।

ভিস্তিরা ঐতিহ্যগতভাবে সামরিক বাহিনীতে পানি পরিবহনের কাজ করতো।

তবে এই ‘ভিস্তি’ নামটি কিভাবে এসেছে, তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত রয়েছে।

কেউ কেউ ধারণা করেন, ‘ভিস্তি’ শব্দটি এসেছে ফারসি শব্দ ‘বেহেশত’ থেকে, যার অর্থ ‘স্বর্গ’।

ইতিহাসের বিভিন্ন বইয়ে পাওয়া যায়, মুঘল আমলে লালবাগ কেল্লায় ভিস্তিরা মশকে পানি ভর্তি করে নিয়ে যেত।

যেকোনো ধর্মীয় উৎসব, অনুষ্ঠান বা সমাবেশে পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকতেন এই পেশাজীবীরা।

পঞ্চাশের দশকে সাহিত্য ও বিনোদনমূলক মাসিক পত্রিকা রূপছায়ার প্রকাশক ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা মীজানুর রহমান।

তার লেখা ‘ঢাকা পুরাণ’ বইয়ে বলা হয়েছে, মুঘল আমলে যে সব বাড়িতে কলের পানি ছিল না, সেখানে ভিস্তিওয়ালারাই ছিল একমাত্র সহায়।

ঢাকায় ভিস্তিওয়ালাদের ‘সাক্কা’ বলা হতো।

মুঘল আমলে এবং ১৮৭৮ সালে ঢাকায় পানির কল প্রতিষ্ঠার আগে নগরবাসীদের এই পেশাজীবীরা পানি সরবরাহ করতেন।

মশক কী বস্তু ?
ভিস্তিওয়ালারা চামড়ার তৈরি যে বিশেষ ব্যাগে করে পানি বহন করত তার নাম ‘মশক’। এই ব্যাগগুলো ছাগলের চামড়া দিয়ে বিশেষ দক্ষতায় তৈরি করতেন ভিস্তিরা।

ইতিহাসবিদরা বলছেন, মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদে যে সব ছাগল জবাই করা হতো তাদের চামড়া নিয়ে বানানো হত মশক।

বিশেষ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বাছাইকৃত ছাগলের চামড়া থেকে দুর্গন্ধ এবং জীবাণু দূর করা হতো। ২০ দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে শুকানো হত।

মহিষের চর্বি দিয়ে ঘষে পানিরোধী করা হতো এই চামড়া। সাদা সুতার সাথে বিশেষ ধরনের মোম ব্যবহার করে পানি পরিবহনের বিশেষ ব্যাগ ‘মশক’ তৈরি করত কারিগররা।

চামড়ার তৈরি এই মশকটি বেশ ভারি ছিল। একেকটি মশকের প্রায় ৩০ লিটারের মতো পানি ধারণ ক্ষমতা ছিল। কিন্তু ভিস্তিওয়ালাদের আয় ছিল সামান্যই।

ভিস্তিওয়ালাদের সংগঠন
আধুনিক বিশ্বে শ্রমিক ইউনিয়নের ধারণা প্রতিষ্ঠার আগেই মুঘল আমলের ঢাকাতে এই ভিস্তিওয়ালা বা সাক্কাদের নিজস্ব সংগঠন ছিল।

মীজানুর রহমানের ‘ঢাকা পুরাণ’ বইটিতে বলা হয়েছে, সাক্কা বা ভিস্তিওয়ালাদের একটি সংস্থা ছিল। এর প্রধানকে বলা হতো ‘নওয়াব ভিস্তি’। তাদের নিজস্ব পঞ্চায়েত ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।

পুরান ঢাকায় যে এলাকায় এই পেশাজীবীদের বসবাস ছিল, সেই এলাকার নাম হয়ে যায় সাক্কাটুলি। পরবর্তীতে সিক্কাটুলি নামে পরিচিত হয় এ এলাকা।

ঢাকার ইতিহাস নিয়ে ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় জেমস টেলরের লেখা 'আ স্কেচ অব দ্য টপোগ্রাফি আ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস অব ঢাকা’।

বইটিতে বলা হয়েছে, ১৮৩০ সালে ম্যাজিস্ট্রেট হেনরি ওয়াল্টারস এক আদমশুমারিতে মুসলমানদের পেশাভিত্তিক একটি তালিকা করেছিলেন। যাতে ভিস্তিদের ১০টি গৃহপল্লীর কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

এতে আরো বলা হয়েছে, মহরমের মিছিলে অংশ নেয়া ক্লান্ত, শ্রান্ত দর্শকদের মধ্যে পানি বিতরণ করতেন এই ভিস্তি বা সাক্কাওয়ালারা।

মুঘল সিংহাসনে 'এক দিনের বাদশা'
মুঘল বাদশাহ হুমায়ুনকে বাঁচিয়ে এক ভিস্তিওয়ালার এক দিনের সম্রাট বনে যাওয়ার নজিরও রয়েছে ইতিহাসের পাতায়।

ভারতীয় আধ্যাত্মিক নেতা ও লেখক শ্রী চিন্ময়ের লেখা 'দ্য মোঘল এমপেররস' বইতে এই কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।

১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন মুঘল সম্রাট হুমায়ুন ও আফগান শাসক শের শাহ সুরির মধ্যে চৌসার যুদ্ধ হয়। বেনারসের কাছে চৌসা নামক স্থানে এই যুদ্ধ হয়।

ওই দিন দুপুরে নীরব, নিস্তব্ধ তাঁবুতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন বাদশাহ হুমায়ুন ও তার বাহিনী। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই আচমকা আক্রমণ করে শের শাহের বাহিনী।

হুমায়ুনের সেনাবাহিনীর চেয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী সেনাবাহিনী ছিল আফগান শের শাহ সুরির।

এছাড়াও রাজ্য দখলের লোভে হুমায়ুনের বিশ্বাসঘাতক ভাই কামরান ও হিন্দাল শত্রুদের সাথে যোগ দিয়েছিল। ফলে হুমায়ুনের সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, তার ঘোড়াটি পিছলে নদীতে পড়ে যায়।
দিগ্বিদিক না ভেবেই মুঘল সম্রাট হুমায়ুনও ঝাঁপ দেন গঙ্গায়।

বাদশাহ যখন নদীতে ডুবে যাচ্ছিলেন সে সময় ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হন ভিস্তিওয়ালা নিজাম। মশকে বাতাস ভরে তিনি সম্রাটকে দেন।

ভিস্তিওয়ালা নিজামের এই মশকে ভর করেই হুমায়ুন গঙ্গা পাড়ি দেন। নিজাম নিজেও এ ব্যাগটি আঁকড়ে ধরে ছিলেন।

সেদিন ভিস্তিওয়ালার সাহসিকতায় বেঁচে যান সম্রাট হুমায়ুন।

সেদিন বাদশাহ হুমায়ুন ভিস্তিওয়ালা নিজামকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এক দিনের জন্য হলেও মসনদে বসাবেন তাকে।

পরবর্তীতে সম্রাট হুমায়ুন নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন। নিজাম ভিস্তিওয়ালাকে এক দিনের জন্য আগ্রার মসনদে বসান তিনি।

ভিস্তিওয়ালা নিজাম তার একদিনের সংক্ষিপ্ত শাসনে বেশ কিছু আদেশ জারি করেন।

নিজের মশককে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে সেগুলোতে স্ট্যাম্প লাগিয়েছিলেন এক দিনের মুঘল সম্রাট নিজাম।

সে সব স্ট্যাম্পে নিজের নাম এবং রাজ্য অভিষেকের তারিখ লিপিবদ্ধ করে মুদ্রা জারি করেন। এভাবেই একজন ভিস্তিওয়ালা তার এক দিনের সাম্রাজ্য শাসন স্মরণীয় করে রাখেন।

সাহিত্যেও রয়েছেন ভিস্তিওয়ালারা
বাংলার কবি, সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পীদের তুলি ও কলমেও বিভিন্ন সময়ে এই ভিস্তিওয়ালাদের কথা উঠে এসেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকুমার রায়, শামসুর রাহমান, হুমায়ুন আহমেদ, চিত্রশিল্পী হাশেম খানের সৃষ্টিতে এই পেশাজীবীদের উপস্থিতি রয়েছে।

সুকুমার রায়ের আবোল তাবোল বইয়ে প্রকাশিত হয়েছিল, ‘ন্যাড়া বেলতলায় যায় কবার?’

‘লাখোবার যায় যদি সে যাওয়া তার ঠেকায় কীসে?

ভেবে পাই না তাই দিশে নাই কি কিচ্ছু উপায় তার?

এ কথাটা যেমনি বলা রোগা এক ভিস্তিওলা

ঢিপ করে বাড়িয়ে গলা প্রণাম করল দুপায় তার।’

এভাবেই ভিস্তিওয়ালাদের কথা বলেছেন কবি সুকুমার রায়।

স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতায় ভিস্তিদের কথা উল্লেখ করেছেন, তাও আবার লাখে লাখে! তিনি লেখেন :

‘তখন বেগে ছুটিল ঝাঁকে ঝাঁক

মশক কাঁখে একুশ লাখ ভিস্তি।

পুকুরে বিলে রহিল শুধু পাঁক,

নদীর জলে নাহিক চলে কিস্তি!’

কবি শামসুর রাহমান তার ‘স্মৃতির শহর’ বইয়ে ঢাকা শহরে তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করেছেন।

এই বইটিতে তিনি ত্রিশের দশকে তার দেখা ভিস্তিওয়ালাদের কথা বর্ণনা করেছেন এভাবে, ‘রোজ মশক ভরে দুবেলা পানি দিয়ে যেত আমাদের বাড়িতে। কালো মোষের পেটের মতো ফোলা ফোলা মশক পিঠে বয়ে আনতো ভিস্তি।’

‘তারপর মশকের মুখ খুলে পানি ঢেলে দিত মাটি কিংবা পিতলের কলসির ভেতর। মনে আছে ওর থ্যাবড়া নাক, মাথায় কিস্তি টুপি, মিশমিশে কালো চাপদাড়ি আর কোমড়ে জড়ানো পানিভেজা গামছার কথা!’

যেভাবে বিলুপ্তির পথে এই পেশাজীবীরা
অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ঢাকায় সুপেয় পানির স্থায়ী ব্যবস্থা ছিল না। তখনকার ঢাকা জেলা কালেক্টরকে সুপেয় পানির জন্য ১৫০ রুপি বরাদ্দ দেয়া হত। অথচ মাত্র দুই রুপিতেই সে সময় চাল পাওয়া যেত।

স্বাস্থ্যসম্মত পানির অভাবের জন্যই এত বিপুল অর্থ সে সময় বরাদ্দ দেয়া হতো। কারণ সে সময় সুপেয় পানির অভাবে কলেরার প্রাদুর্ভাব ছিল বেশি।

অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের ঢাকা সমগ্র গ্রন্থে বলা হয়েছে, ১৮৭১ সালে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ঢাকাবাসীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কাজ চলে খু্বই ধীর গতিতে।

নবাব আবদুল গণি ও তার ছেলে খাজা আহসান উল্লাহ সম্মিলিতভাবে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য এক লাখ টাকা দান করেন। নগরবাসীর ওপর করের বোঝা দেয়া হবে না এই শর্তে নবাব আবদুল গণি টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু নানা জটিলতায় আটকে যায় কাজ।

পরে ১৮৭৪ সালের আগস্ট মাসে রাজপ্রতিনিধি লর্ড নর্থব্রুক ঢাকায় ওয়াটার ওয়ার্কসের ভিত্তি স্থাপন করেন।

ধীরগতিতে এই প্রকল্পের কাজ চলছিল আর একসময় পৌরসভার টাকা শেষ হলেও প্রকল্পের কাজ তখনো শেষ হয়নি। পরে সরকার বাধ্য হয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য আরো ৯৫ হাজার ৩৫০ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

অবশেষে ১৮৭৮ সালে এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। এই প্রকল্প থেকে দৈনিক পানি সরবরাহের ক্ষমতা ছিল দুই লাখ গ্যালন।

এর মাধ্যমে ঢাকায় প্রথমবারের মতো বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজ শুরু হয়।

পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালে ঢাকায় ‘ওয়াসা’ নির্মাণের ফলে সুপেয় পানির আর অভাব রইল না। এতে নগরবাসীর সুপেয় পানিসহ স্বাস্থ্যসম্মত পানির অভাব ঘুচে যায়।

ষাটের দশক পর্যন্ত মোটামুটি দাপটের সাথেই ভিস্তিওয়ালারা ঢাকায় পানি সরবরাহের এই কাজ করেন।

ইতিহাসের বিভিন্ন বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৮ সালের পর থেকেই মূলত ঢাকায় ধীরে ধীরে এই পেশাজীবীদের অস্তিত্ব বিলীন হতে থাকে।

তবে, ভারতের কলকাতায় বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনো এই পেশাজীবীর কয়েক ঘর ধুঁকে ধুঁকে টিকে রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
আগামী বছর রোহিঙ্গা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত জাতিসঙ্ঘের ড. ইউনূসের ৬ মামলা বাতিলের রায় প্রকাশ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে দুদকের তলব খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল : ফখরুল নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় এক শিশু নিহত ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা রাশিয়ার রংপুরে ৩ দশমিক ১ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন সকলের সামাজিক দায়িত্ব : উপদেষ্টা ৪টি সংস্কার করলেই অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিতে পারবে : মোস্তাফিজার রহমান গৌরনদীর সাবেক মেয়রকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

সকল