দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জনরোষের আশঙ্কা শীর্ষ আলেমদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৮, আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০২
ফরিদপুরের মধুখালীর এক মন্দিরে আগুনের ঘটনায় নিছক সন্দেহের বশে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় দুই মুসলিম শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।
রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ।
তারা আরো বলেন, ফরিদপুরের এই জঘন্যতম হত্যার ঘটনায় আমরাসহ পুরো জাতি আজ স্তব্ধ। জনমনে বারবার একটাই প্রশ্ন ঘুরেফিরে তৈরি হচ্ছে, এই জঘন্য ঘটনার কারণ কি? মুসলমানদের বিরুদ্ধে কি পরিকল্পিতভাবে এই আস্ফালন দেখানো হচ্ছে? এই আস্ফালনের নেপথ্যে কারা? কেনইবা হঠাৎ মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই আস্ফালন শুরু হয়েছে? আমরা দেখতে পাচ্ছি হিন্দু ধর্মালম্বীদের কিছু উগ্র সন্ত্রাসী এই সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। তারাই ফরিদপুরে দু’জন মুসলিম শ্রমিককে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। বর্বরোচিত নিপিড়ন চালিয়ে আরো পাঁচজনক আহত করেছে। আজ দেশের আলেম সমাজসহ পুরো দেশবাসী এর সমুচিত শাস্তির অপেক্ষায় আছে। দুঃখের বিষয় হলো এত জঘন্য ঘটনা ঘটার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো আইনি পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। যা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না।
তারা আরো বলেন, আমরা এই নৃশংস হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সরকার যদি দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় এবং এরফলে দেশব্যাপী জনরোষ তৈরি হয়। আর সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে এর সকল দায়দায়িত্ব একমাত্র সরকারকেই বহন করতে হবে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হেফাজত আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতী খলিল আহমাদ কাসেমী, আল্লামা আবু তাহের নদভী, আল্লামা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, আল্লামা মুফতী জসিম উদ্দীন, হেফাজত মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামীদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী মোমেনশাহী, মুফতী মুবারকুল্লাহ, আল্লামা তাজুল ইসলাম, আল্লামা আরশাদ রাহমানী, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী পীর সাহেব দেওনা, আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী মোমেনশাহী, বেফাক মহাসচিব মুফতী মাহফুজুল হক, আল্লামা নূরুল ইসলাম আদিব, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, আল্লামা মাহমুদুল হাসান, আল্লামা লোকমান হাকিম, আল্লামা উসমান ফয়জী, আল্লামা নূরুল হক বটগ্রাম-কুমিল্লা, মাওলানা খাবায়েব, মুফতী হাবিবুর রহমান, মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী, মাওলানা আব্দুল বাসেত আজাদ, আল্লামা ওবাইদুল্লাহ ফারুক, আল্লামা মুস্তাক আহমাদ, মাওলানা আনোয়ারুল করিম, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজি, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা