যাত্রা শুরু বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদতরীর, রয়েছে যেসব বিলাসবহুল উপকরণ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৪
সাত-সাতটি সুইমিং পুল! ছয়টি ওয়াটার স্লাইড। চল্লিশটি রেস্তোরাঁ! ৫০ জনেরও বেশি সঙ্গীতশিল্পী ও ১৬টি অর্কেস্ট্রা। যাত্রীদের মনোরঞ্জনে এমনই এলাহি আয়োজন রয়েছে ‘আইকন অব দ্য সিজ’-এ।
গতকাল যাত্রাও শুরু করেছে ‘আইকন অব দ্য সিজ’ নামে প্রমোদতরীটি। এটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদতরী। সাত দিনব্যাপী এই যাত্রা আমেরিকার মায়ামি সৈকত থেকে শুরু হয়েছে। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখানোর কথা। পাশাপাশি ব্যবস্থা রয়েছে এমন নানা ধরনের বিনোদনের। আর খরচ? জাহাজটির মালিক যে সংস্থা, তার ওয়েবসাইট বলছে, বাংলাদেশী মুদ্রায় ‘মাত্র’ লাখ-দুয়েক টাকা থেকে শুরু হতে পারে এতে যাত্রার খরচ।
‘আইকন অব দ্য সিজ’ প্রমোদতরীটির মালিকানা রয়াল ক্যারিবীয় গ্রুপের। আকার-আয়তনে ‘কিংবদন্তি’ টাইটানিকের থেকে বেশ কিছুটা বড় এই জাহাজ। লম্বায় এটি ৩৬৫ মিটার। ওজন আড়াই লাখ টনেরও বেশি। রয়েছে ২০টি ডেক। সাত হাজার ৬০০ যাত্রীর পাশাপাশি ২,৩৫০ কর্মী কাজ করতে পারবেন জাহাজটিতে।
জাহাজে যাত্রীদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থাও। জাহাজটি তৈরিতে খরচও নেহাত কম হয়নি। রয়াল ক্যারিবীয় গ্রুপ জানাচ্ছে, জাহাজটি বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। ফিনল্যান্ডের একটি কারখানায় প্রায় ৯০০ দিন লেগেছে তা নির্মাণ করতে। আপাতত তাতে চড়তে গেলে বাংলাদেশী মুদ্রায় দুই লাখ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে মাথাপিছু, এমনই লেখা রয়েছে প্রমোদতরীর নির্মাণসংস্থার ওয়েবসাইটে। তবে ওই খরচ সময়ে সময়ে বাড়তে-কমতে পারে বলেও জানানো রয়েছে।
এত রকমের বিলাসিতার আয়োজন রয়েছে যে প্রমোদতরীতে, সেই ‘আইকন অব দ্য সিজ’ বানানো হয়েছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে, দাবি রয়্যাল ক্যারিবীয় গ্রুপের। তারা জানিয়েছে, জাহাজটির ইঞ্জিন চলছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) মাধ্যমে। অবশ্য, পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, এই পদ্ধতিতে বাড়তে পারে দূষণের মাত্রা। তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ সংস্থা। তাদের দাবি, ‘আইকন’ বিশ্বের আর পাঁচটা প্রমোদতরীর থেকে অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে বানানো।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা