জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাচ্ছে স্মার্ট ফ্যাক্টরি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ২৩:২৮
দূষণ ও বেড়ে চলা দামের কারণে উৎপাদনের কাজে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর তাগিদ বাড়ছে। জার্মানির এক কোম্পানি ‘স্মার্ট ফ্যাক্টরি’-র মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানে অবদান রাখছে। তবে তার জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ।
ভবিষ্যতের পৃথিবী কেমন হবে? নির্গমন ছাড়াই উৎপাদনের চাপ বাড়ছে। জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে দরকার পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎস, যা দিয়ে যানবাহন চালানো ও উত্তাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। ফলে আরো পদক্ষেপ নিতে হবে। শিল্পজগতের জন্য এই প্রবণতার অর্থ হলো জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।
প্রতিদিনই অনেকে ওই কারখানা দেখতে যায়। জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের ওই উৎপাদন কেন্দ্র ইউরোপের সবচেয়ে আধুনিক কারখানাগুলোর অন্যতম। সেখানে পাওয়ার কেবেলের ডিসট্রিবিউশন বক্স তৈরি হয়। পণ্য হিসেবে আকর্ষণীয় না হলেও কার্যক্ষেত্রে সেটি অপরিহার্য।
রিটাল ইন্টারন্যাশানল কোম্পানির কর্ণধার মার্কুস আশ বলেন, ‘ডিস্ট্রিবিউশন বক্স অটোমেশন সমাধানসূত্রের চাবিকাঠি। সব ক্ষেত্রেরই অটোমেশনের প্রয়োজন রয়েছে।
ডেটা সেন্টার, অটোমোটিভ কারখানা, বেকারি, রেল- সর্বত্রই ডিসট্রিবিউশন বক্স দেখতে পাওয়া যায়। এমনকি উইন্ডমিল, সোলার প্যানেল বা ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিং স্টেশনও সেগুলো ছাড়া চালানো যায় না।
জার্মানির হেসে রাজ্যের এই কারখানায় দিনে আট হাজার পর্যন্ত ইউনিট তৈরি হয়। অথচ কর্মীসংখ্যা মাত্র ৩০০। মার্কুস আশ বলেন, ‘এই কারখানার অভিনব বৈশিষ্ট্য হলো এখানে বড় আকারে সাধারণ পণ্য উৎপাদন করা যায়। আবার বিশেষ প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড পণ্যও বিশাল সংখ্যায় তৈরি করা সম্ভব। এর জন্য অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন। আমরা দুটিই করেছি।’
কম্পিউটার রোবটগুলোকে নির্দেশ পাঠায়। রোবটও ওই ডাকে সাড়া দেয়। রোবটের সেন্সর থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হয়। ডিভাইসগুলো প্রায় সরাসরি নিজস্ব অবস্থা ও জ্বালানির ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য পাঠায়। অন্য একটি ইউনিট ওই সফ্টওয়্যার তৈরি করেছে। মার্কুস আশ জানান, ‘ইউরোপের অন্যতম সেরা আধুনিক কারখানা হিসেবে আমরা একে বলি কাস্টমার জিরো। অর্থাৎ প্রথম গ্রাহক। যখনই এই প্রযুক্তি কাজ করে, আমাদের কোম্পানি তখন সেটি বাইরে গ্রাহকদের বিক্রি করে।’
কেন এই উদ্যোগ? কারণ উৎপাদনকারীদের পরিবর্তন মেনে নিতেই হবে। তারা জার্মানির বিদ্যুতের প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যবহার করে। বিদ্যুতের দামও বেড়ে গেছে। রিটাল ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির কর্ণধার মার্কুস আশ মনে করেন, ‘গত ১৮ মাস আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে, যে আগের তুলনায় জ্বালানির দামের বিষয়টি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে আমরা আর পণ্যের সংখ্যা বা দামের ভিত্তিতে আমাদের কারখানা চালাতে পারব না। জ্বালানির জোগান ও নির্দিষ্ট সময় জ্বালানির দাম অনুযায়ী আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা