২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

একসাথে দুপুরের খাবারে বিশ্বের দুই ধনীতম ব্যক্তি

এক ফ্রেমে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দুই ব্যক্তি- ইলন মাস্ক ও বার্নার্ড আর্নল্ট। - ছবি : সংগৃহীত

এক ফ্রেমে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দুই ব্যক্তি- ইলন মাস্ক ও বার্নার্ড আর্নল্ট। শুক্রবার দুপুরের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের সাথে প্যারিসে দুপুরের খাবার খেয়েছেন এই দুই ধনকুবের। টেসলার সিইও তার মায়ের সাথে গিয়েছিলেন। এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান ও সিইও সিইও বার্নার্ড আর্নল্টের সাথে তার দুই ছেলে অ্যান্টোইন আর্নল্ট ও আলেকজান্ডার আর্নল্টের এসেছিলেন।

অ্যান্টোইন আর্নল্ট সামাজিক যোগাযোগেমাধ্যমে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে ওই মুহূর্তের কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন। একটা ছবিতে ইলন মাস্ক ও বার্নার্ড আর্নল্টকে এক সাথে পোজ দিতে দেখা গেছে। ছবিতে পেছনে আইফেল টাওয়ারও দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বলছে, এটি চলতি বছর, তথা দশকের অন্যতম আইকনিক ছবি হতে চলেছে।

দপুরের খাবার পর, ইলন মাস্ক সপ্তম ভিভা টেকনোলজি কনফারেন্সে যোগ দেন। ফ্রান্সের পেয়ার্সে ১৪ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক সম্মেলনটির সূচনা করেছিল পাবলিসিস গ্রুপ এসএ এবং লেস ইকোস। এলভিএমএইচের মালিকানাধীন সংস্থা এটি। তাতে ইলন মাস্কের যাওয়ার একটি কারণও রয়েছে। বর্তমানে এটিই ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ ও টেক ইভেন্ট। প্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্তা, স্টার্টআপ, বড় সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের এক ছাদের নিচে আনাই ইভেন্টটির মূল লক্ষ্য।

ওই প্রযুক্তি সম্মেলনের অফিসিয়াল বক্তাদের তালিকায় ছিলেন ইলন মাস্ক ও বার্নার্ড আর্নল্ট। অন্য বক্তাদের মধ্যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, সেলসফোর্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক বেনিওফের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিরা ছিলেন।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও সামাজিক যোগযোগমাধ্যম টুইটারে ইলন মাস্কের সাথে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দু’জনকে হাসিমুখে হ্যান্ডশেক করতে দেখা গেছে। ছবির ক্যাপশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘একসাথে কাজ করা যাক।’

ফোর্বসের রিপোর্ট অনুসারে, ইলন মাস্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তার মোট সম্পদের পরিমান ২৩৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বার্নার্ড আর্নল্ট এবং তার পরিবারের সম্পদ ২৩৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি। টেসলার সিইও সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির খেতাব ফিরে পেয়েছেন। বার্নার্ড আর্নল্ট গত ডিসেম্বরে ইলন মাস্ককে টপকে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে বিশ্বে প্রযুক্তি শিল্পের অবস্থা খারাপ ছিল। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও বিলাসদ্রব্যের বিক্রিতে প্রভাব পড়েনি। বার্নার্ড আর্নল্টের সংস্থা এলএমভিএইচ লুই ভিটন, হেনেসি ও ফেন্ডির মতো বড় ব্র্যান্ডের মালিক। ওই ব্র্যান্ডের ব্যাগ বা পোশাকের দামই শুরু হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা থেকে।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement