মোহাম্মদ আলীর পদক বিসর্জন থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ মে ২০২৩, ০৬:০৬, আপডেট: ৩১ মে ২০২৩, ০৬:০৬
হরিদ্বারের গঙ্গায় পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের ক্রীড়াবিদ সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা। তবে শেষ পর্যন্ত এখনই তা না করে ভারত সরকারকে পাঁচ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন কুস্তিগিররা। অলিম্পিক ও কমনওয়েলথ গেমসে জেতা পদক পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে মোহম্মদ আলীর কথা। বক্সিংয়ের এই কিংবদন্তি নিজের জেতা পদক বিসর্জন দিয়েছিলেন আমেরিকার ওহিও নদীতে। স্বাভাবিকভাবেই ওই ইতিহাস ফিরে আসছে নতুন করে, সাক্ষী-ভিনেশদের ঘটনায়।
ঠিক কী ঘটেছিল? কেন নিজের পদক এভাবে বিসর্জন দিয়েছিলেন ক্যাসিয়াস ক্লে? মাত্র ১২ বছর বয়সে বক্সিং করা শুরু করেন মোহম্মদ আলী। এর ৬ বছরের মধ্যেই ১৯৬০ সালের অলিম্পিকে তিনি সোনা জেতেন। এরপরই রেস্তোরাঁয় এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয় তার। স্রেফ কৃষ্ণাঙ্গ বলে তাকে খাবার পরিবেশন করতে আপত্তি তোলে কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, ওই রেস্তোরাঁ কেবল শ্বেতাঙ্গদের জন্য। এই ঘটনায় মানসিক আঘাত পান তিনি। এমনকি সাদা চামড়ার এক মোটরসাইকেল গ্যাংয়ের সাথেও নাকি তার হাতাহাতি হয়।
আত্মজীবনী ‘দ্য গ্রেটেস্ট’-এ তিনি লিখেছেন, ওই লড়াইয়ের পর ওহিয়ো নদীর সামনে দাঁড়িয়ে তিনি অলিম্পিক মেডেল ছুঁড়ে ফেলে দেন পানিতে। তবে এই কাহিনির ‘অন্য সংস্করণ’ও রয়েছে। আলীর ঘনিষ্ঠদের দাবি, তিনি নাকি আসলে মেডেলটি হারিয়ে ফেলেছিলেন। ২০১৬ সালে আলীর এক জীবনীকার থমাস হাউসারও একই দাবি করেন। ১৯৯৬ সালে আটলান্টা অলিম্পিকে সেই মেডেলের একটি রেপ্লিকা দেয়া হয় আলিকে।
আজও এই ইতিহাস মনে রেখেছেন ক্রীড়াবিদরা। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো চ্যাম্পিয়নদের অন্যতম ছিলেন মোহম্মদ আলি। তার এই পদক্ষেপ কার্যতই মিথ হয়ে রয়ে গিয়েছে। সাক্ষী, ভিনেশদের কি অনুপ্রাণিত করেছে এই ঘটনা? তেমন কিছু অবশ্য জানা যায়নি।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা