অ্যাঙ্গোলার খনিতে ৩০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় গোলাপি হীরা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ জুলাই ২০২২, ২৩:৩১, আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২২, ০৬:৪২
উত্তর-পূর্ব অ্যাঙ্গোলায় খননকারীরা একটি বড় আকারের দুর্লভ ও বিশুদ্ধ গোলাপি হীরা পেয়েছেন। বলা হচ্ছে, গত ৩০০ বছরে এ ধরনের যত হীরার টুকরো খনিতে পাওয়া গেছে তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।
ওই খনির অস্ট্রেলিয়ান পরিচালনাকারীরা ১৭০ ক্যারেট বা ৩৪ গ্রাম ওজনের এই হীরাটির নাম দিয়েছেন ‘দ্যা লুলো রোজ।’ যে খনিতে এটি পাওয়া গেছে তার নাম হচ্ছে লুলো।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গোলাপি হীরা হচ্ছে ১৮৫ ক্যারেটের দরিয়া-ই-নূর। যা কাটা হয়েছিল তিন শতাব্দীরও বেশি আগে ভারতে পাওয়া এক খনিজ হীরকখণ্ড থেকে। দরিয়া-ই-নূর হীরাটি এখন ইরানের রাজপরিবারের ধনরত্নের সংগ্রহের অংশ।
আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে অ্যাঙ্গোলার রাষ্ট্রীয় হীরা বিপণন কোম্পানি এটিকে বিক্রি করবে বলে জানানো হয়েছে। অ্যাঙ্গোলার খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ডিয়ামান্টিনো আজেভেডো এক বিবৃতিতে এই হীরা পাবার খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সাধারণ হীরার তুলনায় গোলাপি রঙের হীরাকে অতি দুর্লভ বলে মানা হয়। অতীতে এ ধরনের খনিজ হীরা কাটা এবং পালিশ করার পর রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে।
এর মধ্যে একটি হচ্ছে পিংক স্টার নামে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল গোলাপি হীরা। ৫৯ ক্যারেটের হীরাটি ২০১৭ সালে সাত কোটি ১২ লাখ ডলার দামে বিক্রি হয়েছিল ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এটি আরেকটি নিলামে আট কোটি ৩০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এর ক্রেতা মূল্য পরিশোধ করতে পারেনি।
দামের দিক থেকে পিংক স্টারের পরে দ্বিতীয় স্থানে আছে ওপেনহাইমার ব্লু নামে আরেকটি হীরা। যা পাঁচ কোটি ডলারে বিক্রি হয়।
এ পর্যন্ত পাওয়া যেকোনো রঙের খনিজ হীরকখণ্ডের মধ্যে বৃহত্তম হচ্ছে কালিনান। যা দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯০৫ সালে পাওয়া গিয়েছিল। এটির ওজন ছিল তিন হাজার ১০৭ ক্যারেট বা আধা কিলোগ্রামেরও বেশি।
এটি শেষ পর্যন্ত ১০৫ টুকরো করে কাটা হয়। সবচেয়ে বড় টুকরোটির নাম কালিনান ওয়ান। যা এখন ব্রিটেনের রাজপরিবারের ধনরত্নের সংগ্রহের অংশ।
সূত্র : বিবিসি