২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘ভারোত্তোলনে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

‘ভারোত্তোলনে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন - ছবি : সংগ্রহ

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারে ক্রীড়া সাংবাদিক মোরসালিন আহমেদের ‘ভারোত্তোলনে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন করার পর বলেছেন, খুব শিগগিরই ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর তথ্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এ জন্য তিনি ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়ার সাথে সম্পৃক্ত সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি তথ্য সংরক্ষণের উপর জোর দিয়ে বলেন, আমরা ক্রীড়াঙ্গনের তথ্য-ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে আর্কাইভ ও বই প্রকাশনার পরিকল্পনা করছি। মোড়ক উম্মোচনে বক্তব্য রাখেন গ্রন্থের লেখক মোরসালিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল অব. নজরুল ইসলাম।

মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব পরিমল সিংহ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় এনায়েতুর রহমান, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার শেখ আসলাম, হাসানুজ্জামান বাবলু, সাবেক জাতীয় ফুটবলার আবদুল গাফফার, ভারোত্তোলনে এসএ গেমসের স্বর্ণজয়ী মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, মো. জিয়ারুল ইসলাম এবং বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

‘ভারোত্তোলনে বাংলাদেশ’ গ্রন্থে লেখক মোরসালিন আহমেদ ২০০ পৃষ্ঠার এই বইটিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আঙিনায় ঘরোয়া ভারোত্তোলনকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তিনি গোল্ডেন গার্ল মাবিয়া, গোল্ডেন বয় হামিদুলসহ কৃতি ভারোত্তোলকদের চমৎকার লেখনির মাধ্যমে মেলে ধরেছেন। ঠিক তেমনি দেশবরেণ্য ভারোত্তোলন সংগঠকদের জীবনীও তুলে এনেছেন। শুধু কী তাই! বইটিতে স্থান পেয়েছে ভারোত্তোলনের ইতিহাস-বৃত্তান্ত, ১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করে ২০২১ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবধরনের জাতীয় পর্যায়ের ফলাফলসহ রেকর্ডসমূহ। এমন কী, আন্তর্জাতিক পর্যায় সাফল্য পাওয়া যাবতীয় তথ্যের সঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক পদকজয়ীদের ছবি। এছাড়া অনেক দুলর্ভ ছবিও স্থান পেয়েছে। বইটির বড় সম্পদ হচ্ছে ইংরেজি ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদকৃত ভারোত্তোলনের আইন-কানুন।

বইটিতে ঘরোয়া ভারোত্তোলনের নানান খুটিনাটি বিষয়গুলোও এড়িয়ে যাননি লেখক। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে পাঁচ শ' টাকা।

উল্লেখ মোরসালিন আহমেদের ‘দক্ষিণ এশীয় গেমসে বাংলাদেশ’ বইটিও ‌পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। এছাড়া তিনি গল্পে গল্পে দাবা খেলা, বিশ্ব দাবায় মেয়েরা, সেরা দাবাড়ুর প্রিয় খেলা বইগুলোও বেশ সাড়া জাগিয়েছিল। এছাড়া তিনি জাদুকর সামাদ স্মারকগ্রন্থ সম্পাদনা করেন।
সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement