ইন্দো-প্যাসিফিকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগীদের ইউক্রেন বিষয়ে মতভেদ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ মার্চ ২০২২, ০০:৩১
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর নিন্দার বিষয়টিকে উদ্দীপ্ত করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি বৈশ্বিক জোট গঠন করতে বাইডেন প্রশাসনকে বেগ পেতে হচ্ছে।
অঞ্চলটিতে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী যেমন অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং তাইওয়ান রাশিয়ার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও রফতানি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে। তবে, অন্যরা রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে এমনকী শুধু নিন্দা জানানোর পশ্চিমা চাপটুকুও প্রত্যাখ্যান করেছে।
তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ভারত। যদিও ইন্দো-প্যাসিফিকে চীনকে নিয়ন্ত্রণে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী, তবুও দেশটি তাদের প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের জন্য রাশিয়ার উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবটিতে ভোট প্রদান থেকে ভারত বিরত থাকে। প্রস্তাবটিতে রাশিয়াকে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তের অভ্যন্তরে অবস্থিত ভূখণ্ড থেকে অবিলম্বে, সম্পূর্ণরূপে এবং শর্তহীনভাবে সকল সামরিক বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানানো হয়।
জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবেও ভোট প্রদানে বিরত ছিল ভারত। প্রস্তাবটিতে রাশিয়া ভেটো প্রদান করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বিষয়টি নিয়ে ভারত একটি সমস্যায় পড়েছে। দেশটি পাকিস্তান ও চীনের সাথে নিজেদের সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্বের জন্য রাশিয়ার উপর সামরিকভাবে নির্ভরশীল।
একদিকে ভারতের পশ্চিমা মিত্ররা আশা করে যে, দেশটি উদার আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি সমুন্নত রাখবে এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানাবে, অপরদিকে দেশটির আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক প্রয়োজন এবং মস্কোর উপর তাদের নির্ভরশীলতা তাদের জন্য বিষয়টি কঠিন করে তুলেছে।
তবে আসিয়ানের কিছু সদস্য জোটটি থেকে ভিন্ন পথে গিয়ে রাশিয়ার নিন্দায় তাদের নিজস্ব মত বেছে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো সিঙ্গাপুর। দেশটি আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইউক্রেনের মানুষদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হতে পারে এমন জিনিসপত্রের রফতানি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে।