২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রচুর প্রবীণ নিবাস দরকার, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

- ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনমিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দশক থেকেই বাংলাদেশে বয়স্ক বা প্রবীণদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকবে এবং ২৫ বছর পরেই বাংলাদেশ পরিণত হবে একটি বয়স্ক সোসাইটিতে।

অথচ বার্ধক্য নিয়ে মানুষের মধ্যেও যেমন কোনো চিন্তা করতে দেখা যায় না, তেমনি প্রবীণদের জন্য সম্মানের সাথে আনন্দমুখর বার্ধক্য নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগও নেই।

কিছু ওল্ড হোম বা প্রবীণ নিবাস থাকলেও সেগুলোতে যারা থাকেন তাদের নিয়ে নেতিবাচক প্রচারই বেশি হয়। যেমন বলা হয়, ছেলে মেয়েরা বাসায় থাকতে দেয় না কিংবা খোঁজ খবর নেয় না বলেই তারা এখানে।

অথচ পরিবার কাঠামো এবং বাস্তবতা বিবেচনা করলে অনেক সময় চাইলেও সন্তানরা বয়স্কদের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে সেবা করতে পারে না। তাই নেতিবাচকভাবে না দেখে বরং ইতিবাচক দৃষ্টি থেকেই প্রবীণ নিবাসের মতো প্রাতিষ্ঠানিক কেয়ারের চিন্তা করা উচিত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক এ এস এম আতীকুর রহমান। তিনি ১৯৮১ সাল থেকে প্রবীণদের নিয়ে কাজ করছেন।

অধ্যাপক আতীকুর রহমান বলছেন, ‘প্রতি উপজেলায় প্রবীণ নিবাস হওয়া উচিত। একজন মানুষ অবসরজীবন কিভাবে কাটাবে, তার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি কিভাবে নিশ্চিত হবে। এগুলো নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’

প্রবীণ নিবাস বা বৃদ্ধাশ্রম আছে কতগুলো
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৮৫টি শিশু পরিবার আছে। এর মধ্যে ছেলে শিশুদের জন্য ৪৩টি পরিবারে ১০ জন করে পুরুষ ও মেয়ে শিশুদের জন্য যে ৪১টি পরিবার সেখানেও ১০ জন করে নারী প্রবীণ থাকতে পারবেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, এ জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় এবং বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয় যাতে প্রবীণেরা শিশু পরিবারগুলোতে আসেন।

এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত ছয়টি প্রবীণ নিবাস আছে। এই প্রবীণ নিবাসগুলোতে ৫০ জন করে থাকার সুযোগ আছে।

এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে দেশে বেশ কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রম আছে সাভার, গাজীপুরসহ কয়েকটি এলাকায়।

বাংলাদেশ হবে বয়স্কদের সোসাইটি
বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে দেশে এখন ষাটোর্ধ মানুষের সংখ্যা হলো মোট জনসংখ্যার আট দশমিক তিন শতাংশ যা ২০৩০ সাল নাগাদ এগার দশমিক ছয় শতাংশ হতে পারে।

অন্যদিকে ২০৩০ সাল নাগাদ ৬৫ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা হবে সাত দশমিক চার শতাংশ, যা ২০৪০ সালে হবে ১১ দশমিক ১ শতাংশ।

প্রবীণদের সংখ্যা ক্রমশ: বাড়তে থাকলেও ভবিষ্যতে এই জনগোষ্ঠীর সেবা ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং জনবল এখনো অপ্রতুল।

অধ্যাপক এ এস এম আতীকুর রহমান বলছেন, প্রবীণ আসলে তিন ধরণের। ৬০-৭০ বয়সীরা তরুণ প্রবীণ, ৭০-৮০ বছর বয়সীরা মধ্যম প্রবীণ এবং ৮০ থেকে তদূর্ধ্বরা অতি প্রবীণ।

২০৬১ সাল নাগাদ প্রবীণের মোট সংখ্যা পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কোনো দৃষ্টিই নেই কারো।

‘মধ্যম প্রবীণ বয়সে মানুষ বেশি অবসাদে ভুগতে শুরু করে। জীবনের বাস্তবতায় এখন পরিবার থেকে সেরকম সাপোর্ট পায় না তারা। এ কারণেই প্রবীণদের বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক চিন্তাভাবনা জরুরিভাবে শুরু করা দরকার,’ বলছিলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলছেন, ২০৩৫-৩৭ সাল সময়ের পর থেকেই মূলত তরুণদের তুলনায় ক্রমশ বয়স্কদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে এবং ২০৪৭ সাল নাগাদ বাংলাদেশ পরিণত হবে বয়স্কদের সোসাইটিতে।

‘একদিকে মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। আবার অন্যদিকে প্রজনন হার কমছে। সে কারণেই বয়স কাঠামোর মধ্যে একটা পর্যায়ে গিয়ে বয়স্কদের সংখ্যা বাড়বে। যে অভিজ্ঞতা জাপানের হয়েছে। এখন চীনের হচ্ছে। সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি বাংলাদেশকেও হতে হবে,’ বলছিলেন তিনি।

আতীকুর রহমান ইসলাম বলছেন, আধুনিকায়ন আর জীবনের প্রয়োজনে পরিবারগুলো ছোট হচ্ছে আবার অনেক পরিবারের সন্তানরাই শিক্ষা ও কাজের প্রয়োজনে পরিবারের বাইরে চলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এসব পরিবার কিংবা যেসব বৃদ্ধ দম্পতির সন্তান নেই তাদের কী হবে? রাষ্ট্র ও সমাজকে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় সহজে গ্রহণ হবে এমনভাবে সরকারি বা বাণিজ্যিকভাবে এল্ডারলি কেয়ার বা ওল্ড হোমের ব্যবস্থা করার কোনো বিকল্প হবে না।

‘তবে এগুলো করার সময় সচেতন থাকতে হবে যাতে এক বৃদ্ধ ব্যক্তি দরকারি সব সেবা পান সহজে এবং সেটা যেন তার জন্য সময় কাটানোর চমৎকার ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

জাতীয় প্রবীণ নীতিমালায় কী আছে
এ নীতিমালায় জাতিসঙ্ঘের ঘোষণা অনুযায়ী ৬০ বছরের বেশি ব্যক্তিকে প্রবীণ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সমাজসেবা অধিদফতরের হিসেব অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পায় প্রায় ৫০ লাখের বেশি মানুষ। প্রতিমাসে একজন ব্যক্তিকে ৫০০ টাকা ভাতা দেয়া হয়।

সরকারের এই পরিসংখ্যানে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে দরিদ্র প্রবীণদের সংখ্যা বেশ বড়। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমানে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ প্রবীণ জনগোষ্ঠী- বিশেষ করে যাদের বয়স সত্তরের বেশি।

বাংলাদেশে প্রবীণদের অধিকার সমুন্নত রাখা এবং তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার ২০১৩ সালে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলো যেখানে প্রবীণদের সামাজিক সুযোগ সুবিধা, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা, দারিদ্র দূর করা, আর্থিক নিরাপত্তা, প্রবীণদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও পুষ্টিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কেমন পদক্ষেপ নেয়া হবে তা বলা হয়েছে।

আর এর উদ্দেশ্য হলো প্রবীণদের মর্যাদাপূর্ণ, দারিদ্রমুক্ত, কর্মময়, সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ সামাজিক জীবন নিশ্চিত করা।

আইনে কতটা সুরক্ষা আছে বৃদ্ধদের জন্য?
বৃদ্ধ অবস্থায় মা-বাবাকে সন্তানের কাছ থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য ২০১৩ সালে 'পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন' প্রণয়ন করে সরকার, যেখানে মা-বাবার ভরন-পোষণ না করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

এই আইন অনুযায়ী, কোনো সন্তান তার মা-বাবাকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো বৃদ্ধ নিবাস বা অন্য কোথাও আলাদাভাবে বসবাস করতে বাধ্য করতে পারবে না।

মা-বাবার জন্য ভরন-পোষণ এবং চিকিৎসা ব্যয় মেটানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে এই আইনে এবং সন্তানরা যদি এসব দায়িত্ব পালন না করে তাহলে সেটি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

আইন অনুযায়ী মা-বাবা আইনের আশ্রয় নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বাড়ছে একাকীত্ব, অসহায়ত্ব
নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও বয়স্কদের মধ্যে একাকীত্ব যেমন বাড়ছে, তেমনি অনেকের জন্য তৈরি হচ্ছে অসহায়ত্বও।

ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যা করা ঢাকার ধানমণ্ডির মহসিন খান আত্মহত্যার আগে যেমন বলেছেন তার একাকীত্বের কথা।

তবে এটি শুধু শহরে নয় বরং গ্রামেও অনেক বয়স্ক বাবা মা সন্তানদের সাথে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না নানা কারণে।

অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলছেন, গ্রাম থেকে চাকরি ও শিক্ষার প্রয়োজনে এখন বহু মানুষ শহরে এমনকি দেশের বাইরেও যাচ্ছে।

আবার গ্রামেও যৌথ পরিবার কমে যাচ্ছে ফলে সেখানেও অনেক বৃদ্ধ দম্পতি বা প্রবীণরা সঙ্কটে পড়ছেন।

২০২১ সালের জুনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নিজ সন্তানের হাতেই নিগ্রহের শিকার হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক বৃদ্ধ বাবা।

প্রবীণদের নিয়ে পরিকল্পনা নেই, দরকার প্রাতিষ্ঠানিক কেয়ার
একমাত্র সন্তান বিদেশে থাকে আর ঢাকায় নিজে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন নাজমা খাতুন।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই চাই না আমার সন্তান কাজকর্ম ফেলে দেশে এসে আমাকে নিয়ে পড়ে থাকুক। কাজের জন্যই তাকে গড়ে তুলেছি। আমি চাই আর কয়েক বছর পর আমার অবসরের পর আমি যেন আমার বয়সীদের সাথে কমিউনিটির মতো করে থাকার সুযোগ পাই।’

তিনি বলেন, সন্তান তার মতো করে আপ্রাণ চেষ্টা করে আমার জন্য। কিন্তু সন্তানের ওপর বোঝা হওয়ার জন্য তো তাকে মানুষ করিনি।

‘আমি আত্মীয় স্বজনের জন্যও বোঝা হতে চাই না। একটি পরিবেশ চাই শুধু যাতে প্রবীণ হিসেবে সম্মানসূচক জীবন যাপন করতে পারি শেষ বয়সে। মাঝে মধ্যে বিদেশে মেয়ের কাছে বেড়াতে যাবো কিন্তু ফিরে এসে সমবয়সীদের সাথেই সময় কাটাতে পারি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মমতাজ বেগম বলছেন, তাদের ব্যাচের বন্ধুরা নিজেরা একটি ওল্ডহোম গড়ে তোলার কথা ভাবছেন যাতে শেষ বয়সে পরিবার বা ছেলে মেয়ের জন্য চিন্তার কারণ না হয়ে নিজেদের মতো করে।

অধ্যাপক এ এস এম আতীকুর রহমান বলছেন, দেশের মানুষ সবচেয়ে কম চিন্তা করেন তার বার্ধক্য নিয়ে আবার কর্তৃপক্ষের দিক থেকেও কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নেই যাতে করে একজন প্রবীণ ব্যক্তি তার সামর্থ্য অনুযায়ী থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, সমবয়সীদের সাথে সময় কাটানো এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারেন।

‘প্রবীণদের জন্য চারটি বিষয় অপরিহার্য- স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, খাদ্য ও বিছানার নিরাপত্তা, সমসবয়ীদের সাহচর্য, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। অনেক সময় ছেলে মেয়ে থাকলেও এগুলো হয়না। এজন্যই দরকার প্রাতিষ্ঠানিক কেয়ার বা যত্নের ব্যবস্থা।’

এ এস এম আতীকুর রহমান বলেন, বিদেশে যেমন ওল্ড হোম বা বৃদ্ধাশ্রম আছে তেমনি বাংলাদেশের প্রতি উপজেলায় এখন প্রবীণ নিবাস গড়ে তোলা দরকার যেখানে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রবীণরা থাকতে পারবেন।

বার্ধক্য নিয়ে নিজেকেও ভাবতে হবে
অধ্যাপক এ এস এম আতীকুর রহমান বলছেন 'আমার বার্ধক্য আমার'- এটা সবাইকে চিন্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, পুষ্টির কথা বললে প্রথমেই সবাই ভাবে শিশু বা মায়ের কথা। কিন্তু এই পুষ্টি যে প্রবীণের জন্য কতটা বেশি দরকার সেটি কেউ ভাবছে না।

‘যারা অবসরে যাচ্ছে তারা কোথায় থাকবে। একটা বাসায় একা থাকা কতটা নিরাপদ। প্রত্যেকটি উপজেলায় সে কারণেই প্রবীণ নিবাস করা দরকার।’

তিনি বলেন, দেশে সরকারিভাবে যে প্রবীণ হিতৈষী সঙ্ঘ আছে সরকারের সেখানে একটি চমৎকার পরিবেশ আছে।

‘সেখানকার বৃদ্ধরা চিকিৎসা, খাওয়া এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পাচ্ছে। এ ধরণের প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে হওয়া দরকার।’

এটিকে মডেল করেই সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে এ ধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া উচিত এখনই।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে : অধ্যাপক ইউনূস কুবিতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন ব্যাংক খাত সংস্কারে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা সোমবার ঢাকায় আসছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল ট্রেন চলাচল শুরু ২ ডিসেম্বর ব্রাজিল সফরকালে ইউক্রেনে শান্তি ও গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান শি’র রাষ্ট্রপতির সাথে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ নরসিংদীতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে যুবকের আত্মহত্যা ঈশ্বরগঞ্জে টিসিবির পুরনো তালিকা, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ যুক্তরাজ্যের প্রায় আড়াই শ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ করছে : এইচএসবিসি আবারো বাড়ল স্বর্ণের দাম

সকল