বড়দের নয়, ওমিক্রনে বেশি ভয় শিশুদের- দাবি চিকিৎসকদের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২১
সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে সাত শিশুর মৃত্যু ওমিক্রন নিয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের। গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন কিছু তথ্য।
এখনো কোভিড নিয়ে অনেক কিছু অজানা। তার মধ্যে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন নিয়ে আরো কম জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। তাই ভালো করে বোঝা যাচ্ছে না, এটি কতটা ক্ষতিকর। তবে এ কথা পরিষ্কার, প্রাথমিকভাবে ওমিক্রন করোনার অন্য রূপগুলোর তুলনায় কম বিপদে ফেলছে। বেশির ভাগেরই এর ফলে মৃদু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
কিন্তু হালের গবেষণা বলছে, বড়দের তুলনায় শিশুদের ওমিক্রনের সমস্যা বেশি হতে পারে। এমনকী ছোটদের ক্ষেত্রে ডেল্টা যতটা সমস্যা সৃষ্টি করছিল, ওমিক্রন তার চেয়েও বেশি ঝামেলার হতে পারে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক ফজল নবি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের প্রভাব কম পড়ছে, এ কথাটা এখনো সত্যি। কিন্তু ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং তাদের শরীরে বেশি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, এটাও পরিসংখ্যান থেকে পরিষ্কার।
কোন বয়সের শিশুদের ঝুঁকি বেশি?
ভারতের নামজাদা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক অমিত গুপ্তা বলেছেন, ‘ওমিক্রনের উৎস্থল দক্ষিণ আফ্রিকার পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাচ্ছে, ৫ বছরের কমবয়সী শিশুদের উপর ওমিক্রন জোরদার প্রভাব ফেলছিল। বিশেষ করে যে সব শিশুদের অন্য কোনো জটিল অসুখ আছে, বা যারা অল্পেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রন বেশি প্রভাব ফেলেছে। এটা আগের কোনও ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।’
শিশুদের ওমিক্রন থেকে বাঁচাবেন কীভাবে?
বাবা-মা এবং বাড়ির অন্যরা নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন নিন। তাহলে তাদের মারফৎ কোভিড শিশুদের মধ্যে ছড়ানোর আশঙ্কা কিছুটা কমবে।
ওমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে। সম্ভব হলে এই সময়ে সোশ্যাল ডিসটেন্সিয়ের নিয়ম মেনে চলুন। অতিথিদের বাড়িতে ডাকা বন্ধ করুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
শিশুদের সাথে কথা বলুন। ওরা যেন ভয় না পায়। কিন্তু প্রকৃত অবস্থাটা ওদের বুঝিয়ে বলুন।