২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কুকুর ঘরে ফেরাতে ২৮ লাখ টাকার বিমান ভাড়া!

কুকুর ঘরে ফেরাতে ২৮ লাখ টাকার বিমান ভাড়া! -

করোনা সঙ্কটের ফলে আটকা পড়া পোষা কুকুরকে ঘরে ফেরাতে প্রাইভেট বিমান ভাড়া করছেন এক অস্ট্রেলীয় দম্পতি।

আসন্ন বড়দিনে পোষা কুকুরকে দূরে রাখতে চান না অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড হেনস ও তার বাগদত্তা ট্যাশ করবিন। তাদের কুকুর, মাঞ্চকিন, বর্তমানে করোনা বিধির ফলে নিউজিল্যান্ডে আটকে আছে। প্রায় পাঁচ মাস ট্যাশের সাথে দেখা হয়নি ডেভিড ও মাঞ্চকিনের।

বড়দিন উপলক্ষে এই দূরত্ব ঘোচাতে, ট্যাশ তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে নিউজিল্যান্ড থেকে প্রাইভেট বিমানে করে উড়িয়ে আনবেন ডেভিড ও মাঞ্চকিনকে। এতে করে তার খরচ পড়বে ৪৫ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২৮ লাখ টাকার সমান)।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘টাকাটাই এখানে মূল নয়। বিষয় হচ্ছে কীভাবে ক্রিসমাসের আগে তাদের বাড়ি নিয়ে আসতে পারি, সেটাই। আমাদের জন্য বড়দিনে সবাই একসাথে থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।'

করোনা অতিমারীর ফলে নিউজিল্যান্ডের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সানশাইন কোস্ট অঞ্চলের বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। যাবার পথ বলতে খোলা রয়েছে নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ড হয়ে সেখানে পৌঁছানো। কিন্তু বর্তমানে সেখানে আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের বড় ঢেউ।

প্রাইভেট বিমান ভাড়া করার খরচ কিছুটা হলেও কম করতে বিমানের ভাড়া আরো অন্যান্য যাত্রীদের সাথে ভাগ করে নিতে চান ডেভিড ও ট্যাশ। যদি আগ্রহী যাত্রী পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে অনেকটাই সহজ হবে মাঞ্চকিনের সাথে অবশেষে জীবন শুরু করার প্রক্রিয়া।

দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এসেছে মাঞ্চকিন
মাঞ্চকিন আদতে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের বাসিন্দা ছিল, যেখান থেকে তাকে দত্তক নেন ডেভিড ও ট্যাশ। অস্ট্রেলিয়াতে প্রবেশ করতে হলে কোনো পোষ্য প্রাণীকে নানা ধরনের পরীক্ষা পাশ করতে হয়। এসব পরীক্ষা পাশ করতে মাঞ্চকিনের লেগে যায় তিন বছর, যা সে কাটায় সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ফস্টার ফ্যামিলির সাথে থেকে।

২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করার অনুমতি পায় মাঞ্চকিন ও তারপর ডেভিড ও ট্যাশ সেখানেই থাকতে শুরু করেন। তাদের আশা ছিল, ধীরে ধীরে মাঞ্চকিন অস্ট্রেলিয়ায় থাকার যোগ্য হলে তারা ফিরে আসবেন।

কিন্তু শারীরিক কারণে ট্যাশকে ফিরে আসতে হয় অস্ট্রেলিয়ায় ডেভিড ও মাঞ্চকিনকে ফেলে রেখেই।

মাঞ্চকিনের সাথে থাকতে চাওয়ার ইচ্ছা এতটাই খরচসাপেক্ষ হয়ে উঠেছে যে সোশাল মিডিয়ায় এই তিনজনের কাহিনি ছড়িয়ে পড়েছে 'মিলিয়ন ডলার মাঞ্চকিন' নামে।

ট্যাশ বলেন, ‘কত টাকা খরচ হয়েছে, তা গোনা আমরা তিন বছর আগেই ছেড়ে দিয়েছি। আমরা শুরুর দিকে ভাবতেই পারিনি যে এত টাকা বা এত সময় লাগবে। আমরা ভেবেছিলাম কয়েক হাজার ডলার আর বড়জোর ছয় সপ্তাহ লাগবে।'

তবে ট্যাশ জানেন যে এতটা দীর্ঘ পথ আসার সামর্থ্য তার মতো সবার হয় না। ফলে এখন আর কোনো মতেই তিনি মাঞ্চকিনকে ফেলে আসবেন না। তার মতে, ‘মাঞ্চকিন এখন আমার পরিবার। যা কিছু হয়ে যাক না কেন, আমি কিছু বদলাতে চাই না। আমি ওকে খুব ভালোবাসি, কারণ, সে সত্যিই দারুণ।'
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে প্রথম আলো পত্রিকায় আগুন ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে : পররাষ্ট্র সচিব আড়াইহাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৬ শ্রম সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতিতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রশংসা আইপিএলে রেকর্ড গড়লেন ১৩ বছর বয়সী বৈভব সিলেটে ট্রাক ও বাসচাপায় নিহত ২ মানিকগঞ্জে প্রলোভন দেখিয়ে শাহাবাগে লোক নেয়ার মূলহোতা দবিরসহ আটক ৫ মধ্যাহ্নভোজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট তুলে নিলো বাংলাদেশ সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলবে কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর নিহত জামায়াতের সাথে ইইউ অন্তর্ভূক্ত ৮টি দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক

সকল