টয়লেটে গেলে মেলে কমলা-কফি!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জুলাই ২০২১, ১৭:৩৬
দক্ষিণ কোরিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের টয়লেট ব্যবহার করলে আয় করা যায় ডিজিটাল কারেন্সি। সেই মুদ্রায় শুধু কমলা নয়, অনেক ধরনের ফলের পাশাপাশি কফি ও আরো কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও কেনা যায়।
উলসানের ওই টয়লেটটির ডিজাইন করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউএনআইএসটি) আর্বান অ্যান্ড এনভায়র্নমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক চো জায়-এয়ন।
পরিবেশবান্ধব ওই শৌচাগারের নাম দিয়েছেন বীভি। Bee ও Vision শব্দ দু’টির প্রথম অংশ নিয়ে তৈরি এই নামেই শুধু নয়, এর কার্যকারিতায়ও দূরদর্শিতার ছাপ রেখেছেন চো জায়-এয়ন। নয় তো টয়লেট ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভূমিকা রাখা যাবে, সেই বিদ্যুতে আলো জ্বলবে ভবনে, আর তাই মলত্যাগ করেও অর্থ আয় করা যাবে- এতদিন এমন কথা কে ভেবেছে?
আর চো শুধু ভাবেননি, ভাবনার বাস্তবায়নও করেছেন। তাই বীভিতে রয়েছে মল, অর্থাৎ পায়খানাকে মাটির নিচের এক ট্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা। ভবনের পাশেই রয়েছে ল্যাবরেটরি। মাটির নিচে মল থেকে তৈরি হয় মিথেন গ্যাস। ল্যাবরেটরিতে রাখা এক যন্ত্রের সহায়তায় সেই মিথেন থেকে তৈরি হয় বিদ্যুৎ।
এক ব্যক্তি একবারে গড়ে ৫০০ গ্রামের মতো মলত্যাগ করেন। ওই মল দিয়ে তৈরি হয় ০.৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ, যা দিয়ে একটা গাড়ি অনায়াসে ১.২৫ কিলোমিটার পথ চলতে পারে।
টয়লেটে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করেননি প্রফেসর চো। মলের বিনিময়ে অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থাও রেখেছেন। জিগুল নামের এমন এক ভার্চুয়াল কারেন্সি তৈরি করেছেন, যার বিনিময়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের দোকান থেকে নিয়মিত বই, নুডলস, বিভিন্ন ধরনের ফল, কফি ইত্যাদি কিনছেন।
একবার টয়লেটে গেলে আয় হয় ১০ জিগুল। যার যত জিগুল জমবে, ততবেশি পণ্য কিনতে পারবেন তিনি। শিক্ষার্থী হেও হুই-জিন তো মহাখুশি। তিনি বলেন, ‘এতদিন মনে করতাম পায়খানা খুব নোংরা জিনিস। এখন সেই জিনিসই আমার কাছে খুব মূল্যবান। এখন তো খাওয়ার সময়ও কোনো বই কেনার কথা মাথায় এলে পায়খানা নিয়ে কথা বলি!’
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা