করোনার নতুন রূপ ছড়িয়েছে ২৯ দেশে, আশঙ্কায় ডব্লিউএইচও
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ জুলাই ২০২১, ২৩:৩৩
ঘনঘন নিজের রূপ বদলাচ্ছে করোনাভাইরাস। ‘আলফা’, ‘বিটা’, ‘গামা’ ও ‘ডেল্টা’র পর এবার এই ভাইরাসের নতুন রূপ এর নাম ‘ল্যাম্বডা’। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে প্রথম হদিশ মিলেছে এই নতুন রূপের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সূত্র জানাচ্ছে, ভাইরাসের এই নতুন রূপটি দ্রুত বদলাচ্ছে। আর সেটাই উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেই এই রূপটি দ্রুত নিজেকে বদলে নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই ২৯টি দেশে ছড়িয়েছে এই নতুন রূপ। তবে ভারতে এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞানের পরিভাষায় নতুন এই রূপটির নাম ‘সি.৩৭’। ডব্লিউএইচওর সূত্রটি জানাচ্ছে, ডেল্টার মতো এখনো এটিকে ‘ভেরিয়্যান্ট অব কনসার্ন’এর তালিকায় না রাখা হলেও এই নতুন রূপটিকেও ডেল্টার মতোই সংক্রামক হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে পেরুসহ দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে। ডব্লিউএইচও আপাতত এই রূপটিকে ‘ভেরিয়্যান্ট অব ইন্টারেস্ট’এর পর্যায়ে রেখেছে।
সম্প্রতি পেরুর ৮১ শতাংশ কোভিড রোগী ও চিলির এক তৃতীয়াংশ করোনা রোগীর সংক্রমণের কারণ ভাইরাসের এই নতুন রূপ।
ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত সে দেশে ছয়জন কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে ভাইরাসের এই রূপটিকেই সংক্রমণের মূল কারণ হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে।
ডব্লিউএইচওর সূত্রটি বলছে, ‘সার্স–কভ–২’এর এই নবতম রূপটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে মূলত একটি কারণে। তা হলো, এই রূপটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার বাইরের স্তরে থাকা শুঁড়ের মতো দেখতে স্পাইক প্রোটিনের অনেকগুলো মিউটেশন ঘটিয়েছে। স্পাইক প্রোটিনের আকারগুলো বদলে ফেলেছে। এই স্পাইক প্রোটিনই ভাইরাসটিকে মানব দেহকোষে ঢুকতে সাহায্য করে। তার আকারগুলো দ্রুত বদলে নিয়ে মানব দেহকোষে ঢোকার নিত্যনতুন কৌশল বার করে ফেলছে এই ল্যাম্বডা রূপটি।
সূত্র : আজকাল