ভিয়েতনামে পাওয়া গেছে নতুন ইউকে-ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ মে ২০২১, ০৯:২৯
ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসের একটি নতুন রূপ পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে এটি ভারতীয় ও যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্টের একটি সংমিশ্রণ এবং এটি বাতাসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ভিয়েতনামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুয়েন থান লং এই নতুন সংস্করণকে `মারাত্মক বিপজ্জনক' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে কোভিড শনাক্ত হয়েছিল, তারপর এর হাজারো রূপান্তর ঘটেছে গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি সরকারি বৈঠকে বলেন, ভারত ও যুক্তরাজ্যে পাওয়া কোভিড ভ্যারিয়েন্টের সংমিশ্রণে একটি নতুন কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট ভিয়েতনামে পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য অনুযায়ী, নতুন করে সন্ধান পাওয়া এই ভ্যারিয়েন্টটি খুব দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়।
গত বছরের অক্টোবর মাসে ভারতে যে কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায় সেটি যুক্তরাজ্যে পাওয়া কোভিড ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে কার্যকরী তবে সেটা দ্বিতীয় ডোজের পরে। প্রথম ডোজেই সুরক্ষা মেলার হার কম।
তবে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমিতদের গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেয়া দিয়েছে, এমন কোনে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাসের আসল রূপের মতো এখনো বয়স্কদের এবং যাদের শারীরিক অবস্থা তুলনামূলক দুর্বল তাদের ঝুঁকি বেশি।
এমন অবস্থায় যে জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ এখনো ভ্যাকসিনের আওতায় আসেনি সেখানে এই সংক্রামক এবং বিপজ্জনক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে মৃত্যু বেশি হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ভিয়েতনামে কোভিড ১৯ সংক্রমণ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭০০ মানুষ।
এরমধ্যে অর্ধেকের বেশি শনাক্ত হয়েছে চলতি বছরের এপ্রিলের পরে। ভিয়েতনামে মারা গেছেন ৪৭ জন।
সূত্র : বিবিসি