বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৩ কোটির ওপরে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৪:০৩
বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই ভয়াবহভাবে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে বিশ্বে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ১৩ কোটি ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, সোমবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১৩ কোটি ৫৮ লাখ ৬৯ হাজার ৭০৪ জন।
অন্যদিকে, করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৭১ জন।
করোনার আঘাতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার ১১৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ লাখ ৬২ হাজার ৬৪ জন মানুষ।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলা করছে। দেশটিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৮০৩ জন রোগীর মৃত্যুর পর দেশটিতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৭ জনে।
এছাড়াও দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছে ৩৭ হাজার ১৭ জন এবং দেশটির মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ২৩ জন।
অপরদিকে,প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৫ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৭৫ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের কারণে সারা দেশে রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭৮ জন, যা এ পর্যন্ত দেশের একদিনের মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত শনিবার দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেন ৭৭ জন।
বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৯৩ জনে এবং মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
গত বছরের মার্চের ১৮ তারিখ বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যায়। এ বছরের জানুয়ারিতে ৫৬৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৮১ জন এবং মার্চে ৬৩৮ জন করোনা রোগী মারা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৫ হাজার ৮১৯ জন রোগী সংক্রমিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৬ জনে।
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকার ৫ এপ্রিল হতে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। পরবর্তীতে দোকান ও বিপণিবিতান খোলা রাখার এবং সিটি করপোরেশন এলাকাতে যানচলাচলের অনুমতি দেয়।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
সূত্র : ইউএনবি