অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধ করতে পারে : তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২২ মার্চ ২০২১, ২১:১৪
একটি গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস থেকে উদ্ভূত তীব্র অসুস্থতা প্রতিরোধে ভালো কাজ করে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা সোমবার সকালে ঘোষণা করেছে, ৩২ হজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এ ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ফলাফল অনুসারে দেখা গেছে, চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে করোনার উপসর্গ প্রতিরোধে ৭৯ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। যাদের বয়স ৬৫ বা তার বেশি তাদের ক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কার্যকারিতা ৮০ ভাগের বেশি। অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতে, তীব্র অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি হবার ঝুঁকি কমাতে এ ভ্যাকসিনটি শতভাগ কার্যকর।
এ ফলাফলের মাধ্যমে এটা বোঝা গেছে যে দ্রুতই এ ভ্যাকসিনটি আমেরিকানদের ওপর প্রয়োগ করা হতে পারে। এ গবেষণার মাধ্যমে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের উচিৎ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনকে জরুরী ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়া। এ অনুমোদনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ করোনা প্রতিরোধে এ ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করতে পারবে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন সাধারণভাবে ফ্রিজে (২ ডিগ্রি থেকে ৮ডিগ্রি) তাপমাত্রায় রাখলে তা ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবহার করা যায়। অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির মতে কোনো রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি ছাড়াই এটা প্রয়োগ করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মর্ডনা ও জনসনের করোনা ভ্যাকসিন আছে যা সাধারণ মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু ফাইজার ও মর্ডানাকে খুব নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় যা পরিবহন, বিপণন ও ভবিষ্যৎ সময়ে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা কঠিন করে তুলেছে।
এদিকে রক্ত জমাট বাঁধার কারনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ব্যবহার স্থগিত করা হয়েছিল। ওই সময় রক্ত জমাট বাঁধার কারনে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়।
ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধান চালায় এবং ঘোষণা করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন কার্যকর ও নিরাপদ। সংস্থাটি আরো বলেছে, সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে এ ভ্যাকসিনে উপকারিতা বেশি। এরপর থেকে অনেক দেশই আবার এ ভ্যাকসিনটি পুনরায় ব্যবহার করা শুরু করেছে।
সূত্র : এনপিআর