কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:৩১
কোভিড টিকা প্রস্তুতকারীদেরকে জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বাধীন কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তির বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘এ উদ্যোগটি কোনো দাতব্য বিষয় নয়, এর সাথে মহামারি জড়িত।’
ডব্লিউএইচওর নিয়মিত পাক্ষিক ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় মহামারির মোকাবিলার সর্বশেষ প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানিয়েছেন সংস্থার প্রদান।
খবর ইউএন নিউজের।
সহযোগিতা জোরদার করতে এবং অ্যাক্ট এক্সিলারেটর প্রোগ্রামের আওতায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জি-৭ এর নেতাদের দেয়া ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় টিকা, রোগ নির্ণয় এবং থেরাপির ন্যায়সঙ্গত বিতরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোভ্যাক্স কাজ করছে জানিয়ে তেদরোস গত সপ্তাহে ইইউভুক্ত দেশগুলো অতিরিক্ত ৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়া প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ জানান।
তেদরোস বলেন, ‘এই তহবিল এবং অনুদানের কারণে এ পদক্ষেপ আরো এক ধাপ এগিয়েছে। এর মাধ্যমে বছরের প্রথম ১০০ দিনে প্রত্যেক দেশের স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
তবে সব দেশকে পদক্ষেপ নেয়ার দরকার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থের যোগানই একমাত্র চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে যদি কোনো টিকাই না থাকে তবে অর্থ দিয়ে কিছু হবে না। বর্তমানে, টিকা প্রস্তুতকারীরা কিছু ধনী দেশের সাথে চুক্তি করছে যারা কোভ্যাক্সের সাথেও চুক্তি করেছিল। এর পরে তারা কোভ্যাক্সের কেনা টিকার ডোজের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।
‘আমাদের তহবিল থাকলেও আমরা কেবল তখনই দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ করতে পারব, যখন ধনী দেশগুলো যেসব নতুন চুক্তি করছে তাতে কোভ্যাক্স চুক্তির প্রতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে। এটি দাতব্য বিষয় নয়, এর সাথে মহামারি মোকাবিলা জড়িত।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, অ্যাক্ট এক্সিলারেটর প্রোগ্রামের অর্থায়নের ক্ষেত্রে এখনো ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘাটতি রয়েছে।
সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে টিকার প্রথম ডোজ পৌঁছে দেয়া নিশ্চিত করতে আমাদের আরো বেশি তহবিল দরকার। শিগগিরই বিভিন্ন দেশে টিকা ডোজ পোঁছে দেয়া দরকার। টিকা প্রস্তুতকারীদের কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তিগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন এবং ভ্যাকসিনের উত্পাদন উল্লেখযোগ্য পরিমানে বাড়ানো দরকার, বলেন তেদরোস।