বিশ্বে কোভিড শনাক্ত ১০.১৪ কোটি ছাড়াল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ জানুয়ারি ২০২১, ১২:২৩
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ ৮৯ হাজারে দাঁড়িয়েছে।শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪৫ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ১৪ লাখ ২ হাজার ৬৭৬ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ৩২ হাজার ৯৭১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৭ লাখ ১ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৭ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী প্রায় ৯০ লাখ ৫৯ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৫৪৭ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৯ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৩ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬১১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৬২ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সূত্র : ইউএনবি