‘ডিজিস এক্স’ নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৫ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:২১
আশঙ্কার কথা বেশ কয়েকবারই বলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হুয়ের সেই শঙ্কাই হয়তো সত্যি হতে চলেছে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর মতোই ছোঁয়াচে এবং ইবোলার মতো মারণ প্যাথোজেন অচিরেই মানবজাতির উপর হানা দিতে পারে। নাম জানা না যাওয়ায় সেই ভাইরাসের প্রজাতিকে বলা হয়েছে ‘ডিজিস এক্স’। সতর্ক বার্তা দিয়েছেন ইবোলা ভাইরাসের আবিষ্কারক বিজ্ঞানী জাঁ জ্যাকুয়েস মুয়েম্বে ট্যামফাম। এই অজানা ভাইরাসের প্রকোপে দেখা দিতে পারে নয়া মাহামারী।
সম্প্রতি ওই ব্রিটিশ সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে ‘ডিজিস এক্স’ নিয়ে সতর্কতা জারি করে ট্যামফাম বলেছেন, খুব শিগগিরই এই প্যাথোজেনটিকে শনাক্ত করা যাবে। আর সেই ভাইরাস বর্তমান মহামারীর চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে। এর মারণ ক্ষমতাও বেশি হবে। আফ্রিকার ক্রান্তীয় বৃষ্টিঅরণ্য থেকে প্রতিনিয়িত নিত্যনতুন ভয়ঙ্কর ভাইরাস মানব সমাজে ঢুকে পড়ছে জানিয়ে ট্যামফাম বলেন, সংশ্লিষ্ট প্যাথোজেনটি সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও এটি আরো একটি বৈশ্বয়িক মহামারী ঘটাতে সক্ষম।
এ প্রসঙ্গে সংবাদপত্রের ওই প্রতিবেদনে গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোর ইনগেন্ডের একটি কেসের কথা তুলে ধরেছেন ট্যামফাম। সেখানে একজন রোগীর হেমোরেজিক জ্বর দেখা গিয়েছিল। সেজন্য তার ইবোলা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু, ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই রোগীর ইবোলা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। সেটা দেখেই চিকিৎসকেদের অনুমান, ওই ব্যক্তি ‘ডিজিস এক্স’-এ আক্রান্ত প্রথমজন। পেশেন্ট জিরো।
গবেষক-বিজ্ঞানীদের ধারণা, অজানা ভাইরাসটি কোভিড-১৯-এর মতোই দ্রুত ছড়ায়। কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুহার। যা কি না মারণ ইবোলার ৫০-৬০ শতাংশ।
তারপরই বিজ্ঞানীরা নিত্যনতুন অ্যানিমাল ভাইরাসের মানব শরীরে প্রবেশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ঠিক যেমনভাবে অতীতে হলুদ জ্বর, র্যাবিস, লাইম ডিজিস দেখা গিয়েছিল। আর এই রোগগুলো সবই হয়েছে জীবজন্তু থেকে ছড়ানো ভাইরাসের মাধ্যমে। কীট-পতঙ্গ, ইঁদুরের মাধ্যমে তা বিশ্বজুড়ে মহামারী ছড়িয়েছে। অন্যদিকে, জীবজন্তু থেকে মানব শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বনাঞ্চল নষ্ট হওয়াকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : বর্তমান