২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পৃথিবীর শেষপ্রান্তেও থাবা বসাল করোনাভাইরাস, আক্রান্ত ৩৬

পৃথিবীর শেষপ্রান্তেও থাবা বসাল করোনাভাইরাস, আক্রান্ত ৩৬ - ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীর আর কোনো জায়াগায় বাকি থাকল না। এতদিন আন্টার্টিকা করোনা-মুক্ত হিসেবে একমাত্র স্থান ছিল। এবার সেখানেও মারণভাইরাসের থাবা বসল। চিলি মিলিটারি থেকে জানানো হয়েছে, এই সপ্তাহে বরফ ঠান্ডা সমুদ্র ও হিমশৈল দিয়ে ঘেরা একটি গবেষণা কেন্দ্র থেকে সব স্বাস্থ্যকর্মী ও সেনা অফিসারদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের আলাদাভাবে কোয়ারানটিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চিলির সেনাবাহিনী থেকে জানানো হয়েছে, বার্নাডো ওহিগিন্স বেসে থাকা অন্তত ৩৬জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬জন জওয়ান ও বাকি ১০জন স্বাস্থ্যকর্মী। বরফ ঘেরা আন্টার্টিকা মহাদেশও বাদ গেল না এই মারণ ভাইরাসের ছোবল থেকে।

জানা গিয়েছে, আন্টার্কটিকার উত্তরপ্রান্তে বরফের পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে একটি গবেষণা কেন্দ্র। চিলি সেনাবাহিনীর অন্তর্গত এই কেন্দ্রের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আক্রান্ত সকলকেই আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তাদের উপর দিনরাত্রি নজরদারিও চালানো হচ্ছে। তবে কারোর শরীরে তেমন কোনও জটিলতা এখনও পাওয়া যায়নি।

সারা বিশ্ব যখন অতিমারীর ভয়ে আতঙ্কিত, সেই সময় থেকেই আন্টার্কটিকায় কড়া বিধি নিয়ম জারি করা হয়। বহিরাগত ও পর্যটকদের জন্য আন্টার্কটিকা প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। গবেষণা কেন্দ্রের কর্মীর সংখ্যাও কমিয়ে দেয়া হয়। সেই কড়া নিয়মাবলীর লৌহপ্রস্তর ভেঙেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল ওই মহাদেশে।

ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভের গবেষকরা জানিয়েছেন, আন্টার্কটিকায় মোট ৩৮টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে মোট ১ হাজার জন বিজ্ঞানী গবেষণায় ব্য়স্ত থাকেন। যেগুলি শীতকাল পড়তে না পড়তেই সেখানে থেকে ১০০জনকে আগেই সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তবে গ্রীষ্ম ও বসন্তে পর্যটন শুরু হওয়ার পরই সেখানে সংক্রমণ হতে শুরু করে। আন্টার্কটিকার ম্যাগালানেসে জনসংখ্যা বেশি থাকায় সেখানে অনেক সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হয়েছিল। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গবেষণা কেন্দ্রের দুই সেনা অফিসারের করোনা ধরা পড়ে।

চিলির নৌবাহিনী থেকে জানানো হয়েছে, নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আন্টার্কটিক এলাকায় একটি জাহাজ আসে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় মালপত্র নামিয়ে ফের জাহাজটি ফিরে যায়। সেই জাহাজে মোট ২০৮জন ক্রু ছিল। জাহাজ ফিরে যাওয়ার পর তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তবে জাহাজের ক্যাপ্টেনের বক্তব্য, জাহাজ পাড়ি দেওয়ার সময় কোনো কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। তাদের পরীক্ষা করার পরই জাহাজে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement