আর্মেনিয়ায় সরকার পরিবর্তন চান এরদোগান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:৫৫
আজারবাইজানের বিজয় উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। বিজয় উৎসবে সেনার কুচকাওয়াচ তো ছিলই, সেই সাথে ছিল তুরস্কের ড্রোনও, যা আর্মেনিয়াকে হারাতে সাহায্য করেছে। সেখানেই তিনি আর্মেনিয়ায় সরকার পরিবর্তনের ডাক দিলেন। এরদোগান জানিয়েছেন, নতুন সরকার কিছু শর্ত মানলে আজারবাইজানের সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতা হতে পারে। তিনিও তুরস্কের সাথে আর্মেনিয়ার সীমান্ত খুলে দেবেন।
আর্মেনিয়ার সাথে যুদ্ধে আজারবাইজানকে সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য ও সমর্থন দিয়েছে তুরস্ক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আজারি সেনাকে শক্তিশালী করতে সিরিয়া থেকে বাহিনী সরিয়ে এরদোগন সেখানে পাঠিয়েছেন। ফলে আজারবাইজানের জয় সহজ হয়েছে। এই সংঘাতে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মস্কোর মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এর ফলে নাগর্নো কারাবাখের আর্মেনীয়-বহুল এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হয়েছে আর্মেনিয়াকে। এমনকী ১৯৯০ পরবর্তী সময়ে তারা যে ছয়টি জেলা দখল করেছিল, সেগুলিও আজারবাইজানকে দিয়ে দিতে হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে এর্দোয়ান বলেছেন, ‘আমরা আশা করি আর্মেনিয়ার মানুষ তাদের বর্তমান নেতৃত্বের বোঝা থেকে মুক্তি পাবেন। এই নেতারাই অতীতে তাদের মিথ্যা কথা বলে বুঝিয়েছে এবং দারিদ্রের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।’ এরদোগান জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়া, আজারবাইজান, ইরান, জর্জিয়ার সাথে কথা বলেছেন আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য। সেখানে সম্ভব হলে আর্মেনিয়াও থাকবে।
এরদোগানের দাবি, আর্মেনিয়ার সেনা যুদ্ধাপরাধ করেছে। তারা শহর, গ্রাম, মসজিদ ধবংস করেছে। তাই তাদের বিচার হওয়া উচিত। আর্মেনিয়ার সেনা অবশ্য দাবি করে, তারা নয়, এ সব ধ্বংস হয়েছে আজারি সেনার আক্রমণে।
এরদোগান জানান, ‘আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, একটা অসাধারণ জয়ের উৎসব করতে। আজারবাইজান নিজের জমি ফিরে পেয়েছে। তবে তার মানে এই নয়, সংঘাত শেষ। যে সংঘাত রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ছিল, সেটা এ বার অন্য ফ্রন্টে হবে।'
সূত্র : ডয়েচে ভেলে