নাম পাল্টেছে যেসব দেশের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ নভেম্বর ২০২০, ২১:১৬
বাংলাদেশ
আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ এক সময় বিশ্ব মানচিত্রে পরিচিত ছিল পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে। অর্থনৈতিক মুক্তি, ভাষার দাবি, সামাজিক শোষণসহ নানা কারণে বাঙালিরা রুখে দাঁড়ায় পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জন হয় স্বাধীনতা। তবে বিনিময়ে বিসর্জন দিতে হয়েছে ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ, দুই লাখ নারীর সম্ভ্রম। পরে এ দেশ বিশ্বের দরবারে পরিচিতি পায় বাংলাদেশ নামে।
মিয়ানমার
সামরিক জান্তা ১৯৮৯ সালে বার্মার নাম পাল্টে হয়েছে মিয়ানমার। রাজধানী রেঙ্গুনের নাম পাল্টে রাখা হয় ইয়াঙ্গুন। অনেকেই অবশ্য সামরিক জান্তার দেয়া নাম সহজে মেনে নিতে চাননি। অং সান সু চি সহ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনরত সবাই মিয়ানমারের বদলে বার্মা বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। তবে শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারই ব্যবহার হচ্ছে।
এসোয়াতিনি
ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের ৫০ বছর পর ২০১৮ সালের এপ্রিলে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ড। দেশটির রাজা তৃতীয় এমসোয়াতি সিদ্ধান্ত নেন উপনিবেশিকদের দেয়া নাম নয় দেশ ফিরবে তার আসল নাম এসোয়াতিনি-তে। এসোয়াতিনি অর্থ সোয়াজিদের ভূমি।
বুরকিনা ফাসো
১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পরে অনেকদিন পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির নাম আপার ভোল্টাই ছিল। ১৯৮৪ সালে দেশটির প্রধান দুই ভাষা থেকে নেয়া হয় এ নাম। মোসি ভাষা থেকে ‘বুরকিনা’ ও ডিউলা ভাষা থেকে নেয়া হয়েছে ‘ফাসো’ শব্দটি। বুরকিনা ফাসো শব্দটির অর্থ ‘ন্যায়পরায়ণ মানুষদের দেশ।’
কম্বোডিয়া
১৯৭০ সালে প্রিন্স নরোডোম সিহানোক এক অভ্যূত্থানে ক্ষমতা দখলের পর কিংডম অব কম্বোডিয়ার নাম পাল্টে রাখেন খেমার রিপাবলিক। ১৯৭৫ সালে পল পটের খেমার রুজ ক্ষমতা দখলের পর দেশের নাম আবার পাল্টে রাখে ডেমোক্র্যাটিক কাম্পুচিয়া। পরে ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনামের সমর্থনে খেমার রুজ উৎখাত হলে দেশের নাম হয় পিপলস রিপাবলিক অব কাম্পুচিয়া। ১৯৮৯ সালে আবার রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর কম্বোডিয়া তার পুরনো নাম ফিরে পায়।
বেনিন
ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের ১৫ বছর পর দাহোমে নাম পাল্টে পিপলস রিপাবলিক অব বেনিন নাম ধারণ করে। উপনিবেশ আগের সময়ে আফ্রিকায় একই নামে এক শক্তিশালী রাজত্ব ছিল। দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজেরিয়ার একটি প্রদেশের নামও সেই রাজ্যের অংশ ছিল, ওই প্রদেশের নামও বেনিন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে