অবৈধ সম্পদের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেরানির ১৪ দিনের রিমাণ্ড
- আদালত প্রতিবেদক
- ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৩০
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেরানি আবজাল হোসেনকে ৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের পৃথক ২ মামলায় ১৪ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এর আদালতে রিমাণ্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আসামীপক্ষ অত্র রিমাণ্ড বাতিল করে জামিন দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত শুনানী শেষে ২ মামলায় ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ আগস্ট তারিখে আবজাল হোসেন পৃথক ২ মামলায় উল্লেখিত আদালতে আত্মসমর্পণ করে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানী শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ওই দিনই ২ মামলায় দুদক এর পক্ষ থেকে আবজালের ১০দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য গতকাল বুধবার তারিখ ধার্য্য করেন। সেমতে গতকাল রিমাণ্ড ও জামিন শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আদালত শুনানী শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে উপরোক্ত মর্মে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানী কালে আসামীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত বছর ২৭ জুন দুদক উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কার্যালয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানিলন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন। মামলা দুটিতে আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় দীর্ঘ সময় ধরে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ২৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের অভিযোগও করা হয়েছে। আবজালের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়ে ছে। তিনি দুদকে পেশ করা সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ২ লাখ ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
আবজালের স্ত্রী রুবিনা খানম ও আবজালকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদের কথা বলা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এজাহারে আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এদিকে মামলা ২টির মধ্যে ১টিতে আবজাল হোসেন একা আসামি এবং অপর মামলায় তার স্ত্রী রুবিনা খানমসহ সেও আসামী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা