বিশ্বে কার্বন নিঃসরণে এগিয়ে কয়েকটি দেশ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ আগস্ট ২০২০, ১৭:০৮
মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণের দিক থেকে দায়ীদের মধ্যে শীর্ষে মধ্যপ্রাচ্য আর শিল্পোন্নত দেশগুলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও), ইউনিসেফ এবং দ্য লেনসেট গঠিত একটি কমিশনের প্রতিবেদনে জানায় কার্বন নিঃসরণে বিশ্বের কয়েকটি দেশের নাম।
বিশ্বে মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ কাতার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির মানুষ বছরে গড়ে ৪৯ টন কার্বন ছড়ানোর জন্য দায়ী। ২০৩০ সালের বৈশ্বিক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তাদের কার্বন ব্যবহার ১৭১৬ ভাগ বেশি।
ক্যারিবিয়ান সমুদ্রের বেশ কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো। মাত্র ১৩ লাখ জনগোষ্ঠীর দেশটি কার্বন নিঃসরণে কম যায় না। মাথাপিছু ২৯ টনেরও বেশি কার্বন পোড়ায় তারা। ২০৩০ সালের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৯৮ ভাগ পিছিয়ে তারা।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণে বিশ্বে তৃতীয়। দেশটির মানুষ মাথাপিছু ২৫ টনের বেশি কার্বন ব্যবহার করেন প্রতিবছর
কুয়েতের পরই কার্বন ব্যবহারে এগিয়ে বাহরাইন। তাদের মাথাপিছু নিঃসরণের পরিমাণ ২৩ টন। এরপরের অবস্থানে সৌদি আরব। দেশটির মাথাপিছু কার্বন ব্যবহার ১৯ টন। সবমিলিয়ে প্রথম পাঁচটি দেশই মধ্যপ্রাচ্যের।
মাথাপিছু কার্বন ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অষ্টম। দেশটির মানুষ গড়ে ১৬ টন কার্বন ব্যবহার করে। এসডিজি লক্ষ্য অর্জন করতে হলে তা ৫০০ ভাগ হ্রাস করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের উপরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি কার্বন ব্যবহারকারী এস্তোনিয়া। শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে তাদের অবস্থান ১৩তম। ১৭তম অবস্থানে আছে রাশিয়া, ১৮তম আইসল্যান্ড আর ২০তম জার্মানি।
বিশ্বের সবচেয়ে পরিবাশবান্ধব দেশগুলোর অবস্থান আফ্রিকা মহাদেশে। সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ বুরুন্ডি। মাথাপিছু মাত্র দশমিক শূন্য-পাঁচ টন। একই পরিসংখ্যান চাদ কিংবা সোমালিয়ার ক্ষেত্রেও। সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরনকারী ১৯টি দেশই এই মহাদেশের।
সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণ করা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ৩৯তম। বছরে মাথাপিছু দশমিক ৫৩টন কার্বন ব্যবহার করে এই দেশের মানুষ। এসডিজিতে বেঁধে দেয়া মাত্রার চেয়েও যা আশিভাগ কম।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মাথাপিছু সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নেপাল। তাদের অবস্থান ২৬তম। অন্যদিকে এই অঞ্চলে মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ ভারত। দেশটির মানুষ গড়ে এক দশমিক আট-চার টন কার্বন ছড়ানোর জন্য দায়ী। তবে মাত্রাটি এখনও এসডিজি লক্ষ্যের চেয়ে বেশ খানিকটা কম। সূত্র: ডয়চে ভেলে