নেপালকে রেল ট্রানজিট দিচ্ছে সরকার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১০ আগস্ট ২০২০, ২০:১৩, আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২০, ২০:২৬
রেলপথে নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে নেপালের সাথে থাকা ট্রানজিট চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক এ অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতথ্য জানান। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে দ্বৈত কর পরিহার-রাজস্ব ফাঁকি রোধে আরো ২ দেশের সাথে চুক্তি, কাস্টমস সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানে সৌদির সাথে চুক্তি, চলচ্চিত্র শিল্পীদের সহায়তায় ট্রাস্ট গঠনে আইনের খসড়া অনুমোদন, ভাদ্রমাসে বন্যার শঙ্কা নিয়ে বিস্তর আলোচনা এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার অভ্যাস গড়ে তুলতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়ার বিষয়গুলো উঠে আসে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে 'অ্যাডেনডাম টু দ্য প্রটোকল টু দ্য ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্মেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য গভর্মেন্ট অব দ্য ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপাল' এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৬ সাল থেকে নেপালের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট আছে। সেই ট্রানজিট এগ্রিমেন্টের মধ্যে নেপাল একটি রিকোয়েস্ট করেছে আমাদের রোহনপুর আর ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে যে রেলপথ আছে সেখানে আরেকটি ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার জন্য।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকেই এই প্রোটোকলটা আছে, নতুন আরেকটা ওপেনিং হল। রোহনপুর ও সিঙ্গাবাদ রেলপথের মাধ্যমে তারা মালামাল আনতে ও নিতে পারে সেটা। এই সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন পেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহনপুর থেকে ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে নেপালের বীরগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথে পণ্য পরিবহন সুবিধা চালু হবে।
‘আরেকটা জিনিস এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, নেপাল আমাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট ব্যবহার করতে চায়। এটা আলোচনা চলছে, আজকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওইভাবে আর উপস্থাপন করতে পারেনি। যদি এটায় এগ্রি হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে সেই প্রস্তাবও এখানে আসবে, আরেকটা অ্যামেন্ডমেন্ট আসবে’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দিচ্ছি, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দিচ্ছি। সবগুলো জায়গায় আমরা ওপেন করতে পারিনি। সুবিধা আমরাও পাব।’
কাস্টমস সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানে সৌদির সাথে চুক্তি হচ্ছে :
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে 'এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্মেন্ট অব দ্য কিংডম অব সৌদি এরাবিয়া অ্যান্ড দ্য গভর্মেন্ট অব পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অন কো-অপারেশন অ্যান্ড মিউচুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন কাস্টমস ম্যাটারস' এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্তিসভা। তিনি বলেন, ‘আমাদের সাথে সৌদি আরবের অনেক যোগাযোগ আছে। সেই যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাস্টমস একটি বড় ফ্যাক্টর। সেজন্য সৌদি আরবের শুল্ক সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, শুল্ক ফাঁকি রোধে সহযোগিতা করা। কীভাবে বাণিজ্য সহজ করা যায়, যদি আমরা কাস্টমস ডিউটিগুলো ইজি করে ফেলতে পারি।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এই চুক্তি করলে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো বাড়বে। দুই দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ সুসংহত হবে। দু’দেশে অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে। পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখবে এটা।’
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও অন্যান স্বার্থ রক্ষায় এটা কার্যকর হবে। গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিষয়ে দু’দেশ পরস্পরকে সহায্য করতে পারবে। আমাদের দেশের কাস্টমস বিভাগের দক্ষতা বাড়াতেও সৌদি আরব আমাদের সহায়তা করবে।’
মাস্ক পরা অভ্যাসে পরিণত করতে নামবে ভ্রাম্যমাণ আদালত :
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না এক সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মানুষকে অন্তত সচেতন থাকতে হবে। এর মধ্যে দেখা গেছে, অনেক মানুষের মধ্যে সচেতনতাটা একটু কমে গেছে, কিন্তু সেটা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।...যথাসম্ভব যদি কোনো কোনো ক্ষেত্রে যদি মোবাইল কোর্ট করা যায়, এগুলো নিয়ে কালকেও সচিব কমিটিকে আলোচনা করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাঠ প্রশাসনকে বলে দেয়া হয়েছে প্রয়োজনে আরো এনফোর্সমেন্টে যেতে হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একেবারে ম্যাসিভ কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট করার জন্য যদি পানিশমেন্ট দেয়া হয়, এই জিনিসটা প্রচার করার জন্য যে আজকে মাস্ক না পরার জন্য বা সেফটি মেজার্স না নেয়ার জন্য এতগুলো লোককে বাসে বা বাজারে বা লঞ্চে পানিশমেন্ট দেয়া হয়েছে। এগুলো যদি প্রচারে যায়, তাহলে মানুষও সচেতন হবে।
এ ছাড়া আরো বড় আকারে সচেতনতামূলক প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরো ম্যাসিভ প্রচারের জন্য বলা হয়েছে। ফিজিক্যালি মাঠে গিয়ে, মাইক দিয়ে, বিলবোর্ড দিয়ে, যাতে মানুষ আরেকটু সতর্ক হয়। মানুষকে সচেতন হতে হবে।’
ভাদ্র মাসের বন্যা নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর :
বন্যা ও পুনর্বাসন নিয়েও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘আজকে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। আজকে যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু সেতুর ওখানে অলরেডি বিপৎসীমার বেশ নিচে চলে গেছে।’
পদ্মা নদীর পানির স্তর ও গতি কমে গেছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের আবহাওয়া বিভাগের প্রেডিকশন (অনুমান) আছে যে, আগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পার্টিকুলারলি (নির্দিষ্টভাবে) এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন, প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে একটা লং টার্ম (দীর্ঘমেয়াদি) বন্যা... এই যে পানিটা যাচ্ছে এটাও ১৮-২০ দিন হয়ে গেছে। ১৮-২০ দিন পর পানিটা অনেকটা নিচে নেমে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, যেটা উনি (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষ করে সতর্ক করলেন, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি কোনো বন্যা আসে তাহলে সেটা কিন্তু লং টাইমে এটা প্রিভেইল (দীর্ঘ মেয়াদে থাকার) করার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতিটা ওইখানে রাখতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এছাড়া আমাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম বিশেষ করে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে কিছু প্রোগ্রাম আছে, একটা প্রজেক্ট আছে সেই প্রজেক্টে তিনটি কম্পোনেন্টে ইমপ্লিমেন্ট করার কথা আছে। একটা হলো ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ঘরবাড়ি রিহ্যাবিলিটেশন করবে। আরেকটা হলো স্থানীয় সরকার তাদের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সেখানে ইনক্লুড (অন্তর্ভুক্ত) করা আছে। সেখানে একটা বড় টাকা ধরা আছে যদি কোথাও নদীর বাঁধ ভেঙে যায় ওটাকে তাড়াতাড়ি মেরামত করার জন্য। সে বিষয়ে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা ম্যাসিভ এগ্রিকালচারাল রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম আছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন যে আমনের বীজ যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে এজন্য একটু উঁচু জায়গায় করার জন্য। কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, তারা যে নতুন জাত আবিষ্কার করেছেন সেটা ১৫ দিন পানির নিচে থাকলে নষ্ট হবে না।
রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রোপা আমন ঠিকভাবে না হলে আমাদের (সর্টেজ) ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে। সর্টেজ একচুয়ালি হবে না গতবারের তুলনায়, গতবার আমনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন, এবার লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ লাখ টন। সেই তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। তবে গতবারের তুলনায় উৎপাদন বেশি হবে আশা করা যাচ্ছে।’
চলচ্চিত্র শিল্পীদের সহায়তায় হচ্ছে ট্রাস্ট, আইনের খসড়া অনুমোদন :
এদিকে, মন্ত্রিসভায় ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। পেশাগত কাজ করতে অক্ষম ও অস্বচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পীদের সহায়তায় এই ট্রাস্ট গঠন করছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০১৭ সালের ২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণ সাধনের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক তথ্য মন্ত্রণালয় সব ফার্মালিটি শেষ করে এই আইনের খসড়া উপস্থাপন করেছে।’
তিনি বলেন, এই ট্রাস্ট গঠনের মূল উদ্দেশ্য চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণ সাধন করা। আইন করার উদ্দেশ্য পেশাগত কাজ করতে অক্ষম, অসমর্থ ও অস্বচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এছাড়া অস্বচ্ছল ও অসুস্থ চলচ্চিত্র শিল্পীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা, কোনো চলচ্চিত্র শিল্পীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করাও এর উদ্দেশ্য। ট্রাস্ট অন্য কোনো কাজ বাস্তবায়ন করতে পারবে বলেও আইনে বলা হয়েছে। এটার জন্য একটা বোর্ড থাকবে, বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন তথ্যমন্ত্রী। আর ১৩ জনের বড় একটা টিম আছে, তারা ট্রাস্টের সবকিছু দেখাশোনা করবে। ট্রাস্টের একজন এমডি থাকবেন, তিনি হবেন নির্বাহী প্রধান।
দ্বৈত কর পরিহার-রাজস্ব ফাঁকি রোধে আরো ২ দেশের সঙ্গে চুক্তি :
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দ্বৈত করারোপণ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ মালদ্বীপের সাথে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর চেক প্রজাতন্ত্রের সাথে এ সংক্রান্ত করা চুক্তি অনুসমর্থন করেছে মন্ত্রিসভা।
মালদ্বীপের সাথে চুক্তির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘৩৫/৩৬টি দেশের সাথে আমাদের এরকম দ্বৈত করারোপ রহিতকরণ সংক্রান্ত চুক্তি আছে। এটার জন্য আমাদের পারস্পারিক বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহাযোগিতার পথ প্রশস্ত হবে। কারণ, ডুয়েল ট্যাক্সেশন হলে ব্যবসায়ীরা ওপেনআপ করতে চায় না।’
তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় মালদ্বীপের মধ্যে আলোচনা হয়। তখন তারা দ্বৈত করারোপ পরিহার করার লক্ষ্যে চুক্তি করা যায় কিনা, তার সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি মিটিং হয়েছে।
চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘অন্যান্য দেশের সাথে যেভাবে দ্বৈত করারোপ পরিহারের বিষয়ে যে চুক্তি আছে সেরকমই চুক্তি। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে নতুন একটি রেটিফিকেশন হয়েছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা