২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হলি আর্টিজানে হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানালেন ডিএমপি কমিশনার

- সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে উগ্রবাদী হামলায় নিহতদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। উগ্রবাদী হামলার চার বছর পূর্তিতে আজ বুধবার সকালে ডিএমপি কমিশনার গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের এ রেস্তোরাঁ প্রাঙ্গনে নিহতদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

২০১৬ সালের ১লা জুলাই আজকের এই দিনে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারীতে উগ্রবাদীরা ভয়াবহ হামলা চালায়। এতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ দেশী-বিদেশী ২২ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে অকালে প্রাণ দিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই নির্ভীক কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল করিম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ উদ্দিন খান।

এতে আরও বলা হয়, তাদের স্মরণে ও হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে পুরাতন গুলশান থানার সামনে ২০১৮ সালের ১ জুলাই ‘দীপ্ত শপথ’নামে একটি ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। দীপ্ত শপথেও ফুলেল শ্রদ্ধা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিজি র‌্যাব, পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন, ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন বিভাগ ও গুলশান থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের নেতৃবৃন্দ।

২০১৬ সালের ১লা জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় পাঁচজনের একটি সন্ত্রাসী দল অতর্কিত হামলা চালায়। সেদিন রেস্টুরেন্টের ভেতরে হামলাকারীদের নৃশংসতার বলি হয় দেশী-বিদেশী মোট ২০ জন নাগরিক। এদের প্রত্যেককেই কুপিয়ে জখম অথবা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে মারা যান ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ৩জন বাংলাদেশী নাগরিক।

ঘটনার পরের দিন সকালে সেনা সদস্যরা ‘থান্ডারবোল্ট’ নামে কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে হলি আর্টিজানের প্রায় ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান ঘটায়। ঘটনাস্থল থেকে বিদেশিসহ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

কমান্ডো অভিযানে উগ্রবাদী হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ তরুণের সবাই নিহত হন। নিহতরা হলেন, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাজ ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেয়নি : মুফতি ফয়জুল করিম দুই দিনের ব্যবধানে আবারো বাড়ল স্বর্ণের দাম শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার জামায়াত আমিরের কুমিল্লায় ফসলি জমি থেকে নারীর কঙ্কাল উদ্ধার পিকনি‌কের বাস বিদ্যুতায়িত : ৩ শিক্ষার্থীর লাশ হস্তান্তর বিদেশে চিকিৎসার ব্যয় বছরে ৪ বিলিয়ন ডলার আর কোনো ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় বসতে দেয়া হবে না : সমন্বয়ক সারজিস কমিটি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সংঘর্ষ ‘জামায়াত ইসলামি আদর্শ থেকে এক চুলও বিচ্যুত হয় না’ মধ্যবিত্তকে ফেরাতে হবে নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানাকে অবিস্মরণীয় বিজয় বললেন আনোয়ার ইব্রাহিম

সকল