২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

করোনার ছোঁয়া এড়াতে বিশ্বে সাইকেলের চাহিদা তুঙ্গে

করোনার ছোঁয়া এড়াতে বিশ্বে সাইকেলের চাহিদা তুঙ্গে - ছবি : সংগৃহীত

গড়পড়তা এমটিবি, সিটি বাইক থেকে শুরু করে হাল ফ্যাশনের ইলেকট্রনিক বাইক করোনার কোপে দুনিয়াজুড়ে প্রাণ ফিরেছে সাইকেল বিপণনেও। সংক্রমণ এড়াতে বাস, ক্যাব, মেট্রোর বদলে দু’ চাকার ছিমছাম এই যানই এখন নির্ভরযোগ্য পথের সাথী। শুধু তাই নয়, জ্বালানি না পুড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতেও চাহিদা বাড়ছে সাইকেলের। মার্কেট রিসার্চ সংস্থা এনপিডি জানিয়েছে, মার্চের মাঝামাঝি থেকে সারা বিশ্বে সাইকেল বিক্রির গ্রাফ চড়তে শুরু করেছে। ধরা যাক, আমেরিকার কথা। বিশ্বের অন্যতম এই শক্তিধর দেশে চারচাকার অটুট রাজত্ব। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব দ্রুত ছড়াতেই লাফিয়ে বা‌঩ড়ছে সাইকেল কেনার হিড়িক। চোখের পলকে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ওয়ালমার্টের সাইকেলের র‍্যাক। চাহিদা ভালো ই-বাইকেরও। সিটি বাইকের চেয়ে ই-বাইক চালানো অনেক বেশি আরামদায়ক। ডাচ সাইকেল প্রস্তুতকারক সংস্থা ভ্যান মুফের কর্ণধার টাকো কার্লিয়ার জানাচ্ছেন, গত কয়েক মাসে মূলত আমেরিকা ও ব্রিটেনে ইলেকট্রনিক সাইকেল বিক্রি বিপুল হারে বেড়েছে।

সাইকেল-প্রেমের পারদ কেন এখন ঊর্দ্ধমুখী? এক কথায় করোনা-ভীতি। হিউম্যান পাওয়ার্ড সলিউশনস’- এর সমীক্ষক জে টাউনলির পর্যবেক্ষণ, সাতের দশকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সময় শেষবার সাইকেল নিয়ে এ হেন গণ-উন্মাদনা চোখে পড়েছিল। আর এখন সাইকেলের বিক্রি বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে করোনা সংক্রমণের ভয়। লকডাউন উঠলেও কমবেশি সকলেই গণপরিবহণ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে চাইছেন। অথচ বাড়িতে বসে থাকারও জো নেই। ধীরে ধীরে অফিস-কাছারি খুলছে। সে ক্ষেত্রে সাইকেলই বড় ভরসা হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের কাছে। পাশাপাশি সাইকেল চালানোর একটা বড় গুণও রয়েছে। তা হল, কায়িম পরিশ্রমে ক্যালোরি ঝরানো এবং সাশ্রয়ী। আপাতত জিম বন্ধ। তাই প্যাডল ঠেলে শারীরিক কসরত সেরে ফেলতে চাইছেন এখনকার ‘ফিটনেস ফ্রিক’ তরুণ-যুবকরা। পরিস্থিতি বুঝে রোম, ম্যানিলার মতো শহরে বাইসাইকেল চলাচলে আলাদা লেন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। দু’চাকার রমরমা দেখে ইতিমধ্যেই লন্ডনের অনেক জায়গায় ক্যাব চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে, সাইকেলের এই সুদিনের মধ্যেই ভবিষ্যৎ নিয়েও খানিক দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন আমেরিকার বণিকমহল। এতদিন সাইকেল বিপণনে চীনের উপরই বেশি নির্ভরশীল ছিল আমেরিকা। এখন করোনা আবহে দু’দেশের সম্পর্কে চওড়া ফাটল ধরেছে। বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে সাইকেলের ব্যবসা। বিক্রি বাড়লেও জোগান নেই। ঘাটতির বিস্তর ফারাক সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। ফলে আমেরিকার ঘরে ঘরে এখন সাইকেলের জন্য হাহাকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : বর্তমান


আরো সংবাদ



premium cement
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সাথে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ দোহারে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু নিখোঁজের ৮ দিন পর পুকুর থেকে বৃদ্ধার ভাসমান লাশ উদ্ধার দেশে প্রথমবার পুরানো ল্যাপটপে ৫০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা ও লেন্স সংযোজন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিরিয়ার পাশে থাকবে তুরস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিদান শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের তদন্ত নিয়ে যা জানা যাচ্ছে নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ রাহাত ফতেহ আলি খানের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন পাকিস্তানের হাইকমিশনারের চাঁদপুরে থেমে থাকা জাহাজ থেকে ৫ জনের লাশ উদ্ধার

সকল