সরকার ধান কাটা শ্রমিকদের পাশে রয়েছে : কৃষিমন্ত্রী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৩৬
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক মঙ্গলবার বলেছেন, ধান কাটার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা, কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং শ্রমিকদের ধান কাটায় উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হাওরে আসার জন্য শ্রমিকদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছি। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিরাপদ যাতায়াত এবং ধান কাটার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’
শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধান কাটতে এসেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার সব সময় তাদের পাশে রয়েছে। কেউ অসুস্থ বা করোনা আক্রান্ত হলে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।
মঙ্গলবার নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন এবং খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের হাওড়ে বোরো ধান কাটা পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল ও মানু মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক নিখিল চন্দ্র সেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকদের মাঝে এ সময় সাবান, গামছা ও লুঙ্গি বিতরণ করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সারা দেশে এ বছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২০ ভাগের যোগান দেয় হাওরাঞ্চলের বোরো ধান। এ ফসল যদি নষ্ট হয়, সময়মতো ঘরে না তোলা যায় তাহলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি, সারা দেশে খাদ্যের সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
আবদুর রাজ্জাক জানান, শ্রমিকের পাশাপাশি হাওড় এলাকায় ধান কাটার জন্য ২৯৪টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ও ৪০৬টি রিপার ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিকূল পরিবেশে হাওরের কৃষক যাতে সহজে যন্ত্রপাতি কিনতে পারেন সে জন্য যন্ত্রের দামের ৩০ শতাংশ দেয় কৃষক এবং ৭০ শতাংশ দেয় সরকার।
হাওরে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলার কর্মহীন বিভিন্ন পেশার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে ধান কাটায় উৎসাহিত করা হচ্ছে। হাওড় এলাকায় মোট ২ লাখ ৬১ হাজার শ্রমিক ধান কাটার কাজে করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, হাওরাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ বছর শুধু হাওরে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৭ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। নেত্রকোনা জেলার হাওরে ৪০ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৬২০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। সূত্র : ইউএনবি