২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

করোনা আতঙ্কে হাসপাতাল ছাড়ছেন রোগীরা

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগী আসার খবরে ভর্তি অনেকে চলে যাচ্ছেন - নয়া দিগন্ত

করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রোগী করোনার আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে কয়েকজন রোগী ডিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তারা চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সরকারের নির্ধারণ করা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। ওই সব রোগীর যারা চিকিৎসা দিয়েছিলেন এরকম চারজন চিকিৎসককে রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে। তাদের মধ্যে দুইজন মেডিসিন বিভাগের ও দুইজন কিডনি বিভাগের চিকিৎসক।

এ ঘটনা হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়ায় কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তারা কোনো প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন বলে জানান। বিশেষ করে গত কয়েক দিনে করোনাভাইরাসে কয়েকজন মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী ও তাদের স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এমনকি আগের মতো নতুন রোগীও আসছেন না।

হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী আবুল কালাম মঙ্গলবার স্বেচ্ছায় হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ সময় তার এক স্বজন বলেন, শুনেছি এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত লোকজন এসেছিল। এ কারণে তিনি রোগীকে কোনো প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করাবেন। এভাবে আবুল কালামের মতো প্রতিদিনই রোগীরা ভয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন বলে জানা গেছে।

হাসপাতালের বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল বাসার জানান, হাসপাতালে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে রোগী অর্ধেকের কম আসে। একই চিত্র জরুরি বিভাগেও দেখা যায়।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার খান মো: আবুল কালাম আজাদের কাছে রোগী আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে ঢামেক হাসপাতালে নিউমোনিয়া, জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি নিয়ে প্রতিদিন অনেক রোগী আসছেন। এদের মধ্যে তিন থেকে চারজন রোগীর বক্তব্য শোনার পর তাদের ঢামেকের বাইরে সরকারের নির্ধারণ করা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ওই রোগীদের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তাদের যেসব চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়েছেন এমন চারজন চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। চারজনই ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ও ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এখানে রোগী অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং ভর্তিকৃত রোগীরা স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসাসেবায় কোনো কমতি নেই। আমাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসক রয়েছেন।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের এখানে সব মিলে রোগীর ধারণক্ষমতা প্রায় তিন হাজার। সেখানে রোগী থাকত নির্ধারিত পাঁচ হাজারের মতো। তবুও রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে কোনো কমতি ছিল না। আমাদের সাধ্যমতো রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছি। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে অর্ধেকে নেমে এসেছে রোগী। তবে ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী আগের মতোই আছে। রোগীদের চিকিৎসায় কোনো ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না। ওষুধসহ সব কিছু পর্যাপ্ত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের দাবি বাংলাদেশ অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস ঢাবি সিন্ডিকেটে এখনো বহাল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা হাসিনা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করতে দিগন্ত টেলিভিশনসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করেছে : ফখরুল শীত শুরু হচ্ছে তবু কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যয়বহুল তদন্তেও শনাক্ত হয়নি লাশটি কার ‘রহস্যজনক’ কারণে নেয়া হয়নি ডিএনএ নমুনা নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যুদ্ধবিরতির মার্কিন চেষ্টার মধ্যে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় চিকিৎসাকর্মী নিহত অস্বস্তিতে ক্রেতারা : কমিয়ে দিতে হচ্ছে কেনাকাটা গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৪ হাজার ছাড়াল আমরা মানুষের সম্মিলিত প্রজ্ঞাকে সম্মান করি

সকল