রমজানে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি থাকবে না : জ্বালানি উপদেষ্টা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:১২
রমজানে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি থাকবে না মন্তব্য করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘শহর ও গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে দেশের সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের সেবা প্রদানে আমরা গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো বৈষম্য রাখবো না। কৃষি জমিতে সেচ উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি।’
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যমুনা সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জ সয়দাবাদ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ৯ হাজার মেগাওয়াট। আর গ্রীষ্ম মৌসুমে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। দু’টি কারণে এই পার্থক্য হয়। এর মধ্যে একটি হলো সেচ। সেচের জন্য প্রায় দু’হাজার মেগাওয়াট অতিরিক্ত লাগে। সেচের বিষয়কে আমরা আগে প্রাধান্য দিবো।’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘এর আরেকটি কারণে হলো এসি। এজন্য প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এসির তাপমাত্রা যদি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি থাকে, তাহলে দুই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা অনুরোধ করেছি, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য। আগে গরমের মৌসুমে শুধু শহরের মানুষ এসি ব্যবহার করতেন, আর এখন গ্রামের মানুষরাও এসি ব্যবহার করেন।’
এর আগে সিরাজগঞ্জ শহরের যমুনা নদীর হার্ডপয়েন্টে সাত দিনব্যাপী সপ্তম জাতীয় কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্পের (কমডেকা) সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ফাওজুল কবির খান।
এ সময় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গণপতি রায়, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুল ইসলাম সরদার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল, সাসেক প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানসহ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।