‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তার অপপ্রচার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে’
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৫
‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা প্রচারে সাংবাদিকগণের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন,
প্রকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা প্রচারে গুজব, অপপ্রচার এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার অথবা তথ্যগত ভুলের কারণে তৃণমূল পর্যায়ে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। এতে সমগ্র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে মারাত্বক বাধাগ্রস্থ করতে পারে। এক্ষেত্রে আগাম শতর্ক বাত্রা প্রচার কার্যক্রম অত্যান্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় যথাযথ দায়িত্বশীলতার সাথে প্রচার করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা প্রচারে সাংবাদিকগণের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘের সাথে বাংলাদেশসহ ৩০টি দেশ কাজ করে যাচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে আমাদের দেশে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যা চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে উত্তরণ সম্ভব হবে।’
এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমাদুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো: জহিরুল ইসলাম।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো: মমিনুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো: মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিগত দশকের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে। সাংবাদিকরা এই সাফল্যের বিরাট অংশীদার।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রায়ই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়ে থাকে এবং এর ফলে মানুষের জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের ফলে মানুষের জীবনহানি আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এখনো উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এর ফলে দারিদ্রতার হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে হলে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল এবং সুসংঘটিত করতে হবে।’
কর্মশালায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা প্রস্তুত প্রক্রিয়া এবং পূর্বাভাসের অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস প্রচারে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং বাংলাদেশে আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত আধুনিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।