৬ দফা দাবিতে শহীদ মিনারে চলছে ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ কর্মসূচি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:১৩
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19691616_116.jpg)
বিডিআর কল্যাণ পরিষদ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে মোট ছয় দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ কর্মসূচি।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী ও চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পরিবারের মানুষজন এখানে এসে জড়ো হয়েছেন। আগেই এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: খালিদ মনসুর জানিয়েছেন, বেশ কিছু দাবি নিয়ে অন্তত ৪০০ পরিবার শহীদ মিনারে এসেছেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। কাদের মদদে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তারা এর উত্তর চাইছেন।
একইসাথে ১৮ হাজারেরও বেশি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের উত্থাপিত ছয় দফা দাবিগুলো হলো:
১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একইসাথে তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
২. এরইমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। একইসাথে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৪. পিলখানায় শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে কারাগারে মারা যাওয়া সব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে।
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে। একইসাথে শহীদদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র : বিবিসি