তিনবার মামলা হলেই বন্ধ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সুযোগ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৯
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19690814_123.jpg)
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সময় যেকোনো অপরাধের কারণে কোনো গাড়ির বিরুদ্ধে যদি তিনবার মামলা হয় ওই গাড়ি আর কখনো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে দেবে না কর্তৃপক্ষ। অপরাধী গাড়িগুলোর তালিকা পুলিশ ও প্রতিটি টোল প্লাজায় সরবরাহ করা হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কুড়িলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল বিল্ডিংয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) কোম্পানি লিমিটেডের যানচলাচল, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান।
নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক বলেন, ‘আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওভার স্পিডিংয়ের কারণে ভিডিও মামলা দেবে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের সাথে কথা হয়েছে। আমরা তাদের ওভারস্পিডিংসহ সব ধরনের অপরাধের ভিডিও সরবরাহ করব। তারা ওই গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
হাসিব হাসান খান বলেন, ‘আমাদের বেশকিছু নীতিমালা আছে। ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলে নিরাপদ ও দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে নীতিমালাগুলো ব্যবহারকারীদের মানতে হবে।’
নীতিমালাগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত গতি দুর্ঘটনার কারণ, তাই এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের গতি নির্ধারিত গতিসীমার মধ্যে থাকতে হবে, ভিডিও নজরদারির মাধ্যমে গতিসীমা রেকর্ড করা হবে। নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করলে স্পিড ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও মামলা করা হবে, বেপরোয়া গতিতে যান চলাচল করলে এবং একই গাড়ি তিন বারের বেশি গতিসীমা লঙ্ঘন শনাক্ত হলে ভবিষ্যতে ওই গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। সুশৃঙ্খল ট্র্যাফিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সবসময় নির্ধারিত লেনের মধ্যে গাড়ি চলাচল করতে হবে, সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া লেন পরিবর্তন করা হলে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি থামানো বা পার্কিং কঠোরভাবে নিষেধ।
এছাড়া যান চলাচলে গাড়ি বা মেশিনারিজ ত্রুটি বা অন্য যে কোনো সমস্যা অনুভব করলে জরুরি লেনে যেতে হবে এবং দ্রুত এক্সপ্রেসওয়ের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। টোল প্লাজা, টোল সংগ্রহের বুথ, লেন এবং এক্সপ্রেসওয়ের অবকাঠামোগত যে কোনো ক্ষতির জন্য যানবাহনের মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গত করে এমন যানবাহন, যাত্রীরা দাঁড়িয়ে যাতায়াত করে এমন খোলা যানবাহন, নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে এমন অনুপযুক্তভাবে সুরক্ষিত পণ্যবাহী যান চলাচল কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে।
এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী নামানো সম্পূর্ণ নিষেধ। কোনো যাত্রীবাহী বাস অথবা অন্য কোনো যানবাহন যদি এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী নামান তাহলে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিটা যানবাহন একটির সাথে আরেকটির নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ ঘণ্টা টহল অফিসার এবং নিরাপত্তা কর্মী আপনাদের যে কোনো সহযোগিতায় নিয়োজিত আছে তাদের সর্বদা সহযোগিতা করুন, যানবাহন থেকে যে কোনো জিনিসপত্র (যেমন টোল টিকেট, টিস্যু পেপার) এক্সপ্রেসওয়েতে ছুড়ে ফেলা নিষেধ এবং মানষিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ এবং গাড়ি ড্রাইভিং করার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ।
নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, অ্যালকোহল, ড্রাগ বা অন্য কোনো নেশাদ্রব্য বা ক্ষতিকর কিছু গ্রহণ করা কঠোরভাবে নিষেধ, টোল প্লাজার লেনে প্রবেশের সময় পণ্যবাহী ট্রাক অথবা পিকআপ ও পণ্যগুলোকে ঢেকে রাখতে হবে, নির্মাণ কাজে নিয়োজিত কোনো ধরনের ভারী ও ধীরগতির যানবাহন টোল এবং এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশের অনুমতি নেই, দু’ বা তিন চাকার গাড়িতে প্রবেশের অনুমতি নেই। একটি যানবাহন অন্য একটি যানবাহনকে দড়ি বা অনুপযুক্ত উপায়ে টেনে নিয়ে টোল লেনে প্রবেশের অনুমতি নেই। কোনো খোলা ট্রাক/পিকআপ মানুষ থাকলে তা টোল লেনে প্রবেশ করতে পারবে না।