গোলাম দস্তগীরের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করায় সেলিমের বাড়িতে হামলার অভিযোগ

আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করায় বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে সেলিম প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর লোকজন আমার বাড়িতে হামলা ও গুলি করেছে। গতকাল আমরা তার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করায় আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে গাজীর ঘনিষ্ঠ লোক দিপু ভূঁইয়া। দিপু ভূঁইয়া গাজীর হয়েই এখন রূপগঞ্জে কাজ করছে।’

সেলিম প্রধানের অভিযোগ, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীও পালিয়ে যান। এ সময় গাজীর সব সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নেন বিএনপি নেতা দিপু। রূপগঞ্জে বিসমিল্লাহ আড়তের ভাড়ার চুক্তি নিয়ে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর কর্মী মজিবর রহমানের সাথে বিরোধ চলছে। হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্যের নির্দেশে ছাত্রদল নেতা ও শুটার রাসেলকে দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আমি পুলিশ প্রসাসনের কাছে নিরাপত্তা চাইলেও শেষ রক্ষা হয়নি। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

ভুক্তভোগী জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি নেতা দিপু ভূঁইয়ার নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এছাড়া ৫০টি মোটরসাইকেল ও গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। রূপগঞ্জবাসী দিপু ভূঁইয়ার বিচার চায়।’

উল্লেখ্য, গতকাল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দিনব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক ঘেঁষে থাকা সেলিম প্রধানের বাড়ির সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল, একটি গাড়ি ও বাড়ির একটি টিনশেড ঘরে আগুন দেন। সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় মহাসড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকলে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।