২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৫ রজব ১৪৪৬
`

ডব্লিউএইচওর পরিচালক মনোনয়নকালে কানাডার নাগরিক ছিলেন পুতুল!

- ছবি : সংগৃহীত

শেখ হাসিনার আমলে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক মনোনয়নকালে তিনি কানাডার পাসপোর্টধারী তথা কানাডার নাগরিক ছিলেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও চলছে।

রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তি বাংলাদেশের মনোনয়নে ডব্লিউএইচওর একটি সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর। এর ফলে বিশ্বপরিমণ্ডলে দেশের সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জোড়াল আশঙ্কা রয়েছে।’

দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রাপ্ত অভিযোগের ওপর পরিচালিত তথ্যানুসন্ধানকালে এ মর্মে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়।

দুদক জানায়, ‘বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে সফরসঙ্গী করা হয়েছে। এছাড়া সায়মা ওয়াজেদের ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে প্রদত্ত তথ্যাদি যথাযথ ছিল না। ওই মনোনয়নকালে তিনি কানাডার পাসপোর্টধারী তথা কানাডার নাগরিক ছিলেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।’

তথ্য সূত্র থেকে দুদক আরো জানতে পারে, ‘২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে ডব্লিউএইচওর ৭৬তম সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে শতাধিক কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি দল উপস্থিত হয়। এক্ষেত্রে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিজের পারিবারিক প্রভাব এবং তার নিকটাত্মীয়দের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিপুল অর্থ ক্ষতিসাধন করেছেন।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাপ্ত ভিন্ন একটি অভিযোগের ওপর পরিচালিত অনুসন্ধানকালে এ মর্মে তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এবং তার পরিবারিক রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহারের মাধ্যমে বেআইনিভাবে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প-এর ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ (দশ) কাঠা প্লট করায়ত্ব করেন। সে কারণে তার ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে।

এছাড়াও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাত করেছেন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ আত্মসাত করে নিজে লাভবান হয়েছেন বলে প্রাপ্ত একটি অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। এই অভিযোগের ভাষ্য মতে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে উল্লেখিত ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্য অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন। যাতে সরকারের বিপুল অর্থের ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দুদক জানায়।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement

সকল