১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৬
`

রাতে বাড়ি ফিরে ডিমভুনা খেতে চেয়েছিলেন হৃদয়, কিন্তু ফিরলেন লাশ হয়ে

শহীদ মমিনুল হোসেন - ছবি : সংগৃহীত

দেশের পরিস্থিতি ভালো না, গণ্ডগোল হইতাছে, চারিদিকে খালি গোলাগুলির শব্দ। তুমি কুনহানে যাইয়ো না, বাপ। কুনহানে যাইতাম না মা... । যাইতাম না কইয়া সে কিসের লাইগ্যা যে চইলা গেল, কইতে পারলাম না। হৃদয় কথা দিয়াও কথা রাহে নাই...

বাসসের প্রতিনিধির সাথে কথাগুলো বলছিলেন মমিনুল হোসেন হৃদয়ের মা মোছাম্মৎ মরিয়ম বেগম (৪৫) ।

তিনি বলেন, আমার ২৫ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে হৃদয়ের সাথে এটাই ছিল আমার শেষ কথা। আছিলাম বাসার নিচে, সবজির ভ্যানের দোকানে। ওর বাপেরে সাহায্য করতে দিনের কিছু সময় আমিও সবজি বেচি। ১১ টার দিকে বাসায় আইস্যা দেখি হৃদয় আজকে তাড়াতাড়ি গোসল করছে।

‘তুমি দেহি তাড়াতাড়ি গোসল কইরা লইছো? কয় মা। ‘আইজ না শুক্রবার সেইজন্য গোসল কইরা লাইছি’।

আমি বললাম, ‘গোসল তো কইরা লাইছো, কিন্তু বাথরুমে তো বালতি ভর্তি কইরা কাপড় ভিজাইছো’। তহন ওয় ওর বইনেরে কয়, ‘সামিয়া তুই না কাপড়গুলা ধুইয়া লা। মায় রান্না করবো’। ছুডুডারে কইছে, ‘তুমি ঘর মুইচ্ছ্যা লাও। তাইলে মায় নামাজের সময় পাইবো’।

দীর্ঘশ্বাস ফেলে মরিয়ম বেগম বলেন, ‘অনেক কথাই বলছি পোলার লগে। কইছি কুনদিকে যাইয়ো না বাজান, দিনকাল খারাপ, ছোটবেলায় বাপ-মায়েরে হারাইছি, দুনিয়ার কোনদিকে কেউ নাই, তুমি তো সব শুনছো, খোদার ইচ্ছায় একমাত্র আছো তুমি। তোমার যদি কিছু হয়, ইলার পরে আর কিছু থাকতো না আমার।’

শহিদ মমিনুল ইসলাম হৃদয় ১৯ জুলাই শুক্রবার মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে শহিদ হন। এদিন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর, গুলি, অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

হৃদয় মিরপুরের পল্লবীতে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে বিএসএস ২য় বর্ষের (প্রাইভেট) শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তাদের মিরপুর ডি ব্লকের, রোড ২৭, বাড়ী-১,মিরপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাসার সামনে বাবার সাথে কাঁচা শাকসবজি বিক্রি করতেন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা বাড়ি ও গ্রাম বাঞ্ছানগর,ডাকঘর-লক্ষ্মীপুর,থানা-লক্ষ্মীপুর সদর, জেলা লক্ষ্মীপুর।

মরিয়ম বেগম জানান, বাইর হওয়ার সময় বলছি,হৃদয় কোনদিকে যাইয়ো না। পরিস্থিতি অনেকই খারাপ। বেশি অসুবিধা দেখলে দোকানপাট ফালাইয়া রাইখ্যা একজনের বাড়িতে ঢুইক্যা যাইস গা। শুনে হৃদয় হেসে বলে, ‘মা, মানুষ কি একটু কিছু হইলে মইরা যায়? তুমি মরারে এতো ভয় পাও’?

তিনি বলেন, শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে গেল। হৃদয়ের পড়ার টেবিলে দুপুরের খাওন বাইড়া রাখছি। নামাজ শেষে বাসায় আসল, দেহি মনডা খারাপ। বড় মাইয়া সামিয়ারে জিগাই আইজকা ঘরে কি অইছে কিছু কইছস হৃদয়রে? ও বলে, ‘আমি কিছু কই নাই তো’। দুপুরের আগে ওরা তিন ভাইবোন মুরগী ভাজছে, নুডলস রানছে। কই, তাইলে তোরা যে নুডলস রানছোস হেইডা কম দিছোস, তাই ওর মন খারাপ।’

হৃদয় আমারে কইছে, ‘মা আইজকা বেশি কিছু রান্না কইরো না। হুদা আলু ভর্তা, ডাইল করো। আর ডিম ভুনা করো। ডিম ভুনা খাই না অনেকদিন ধইরা।’

হৃদয়ের মা বলেন, নামাজ পইড়া আইয়া আবার নুডলস খাইল। পরে ভাত খাইল, আমি বললাম, হৃদয় তুমি যে ডিমভুনা খাইলা না? কয় কি মা,রাইখ্যা দাও,আমি রাইতে খামু। দুনো বোনরে ডাইক্যা কইল, তোরা ক’লে খাইবি না, আমার ভাগেরটা, আমি রাইতে আইস্যা ভাত খামু। আমারডা রাইখ্যা দাও। আমি সেই ডিম ভুনা রাইখ্যা দিলাম।

তিনি বলেন, বাসায় ওয় লাভ বার্ড পাখি আনছে, পালবো বইলা আনছে, তহন আমি কই কি,পাখি যে আনছোস ইতা পালবো কেডা? ইতা ময়লা-ছয়লা কইরা লায়, আমি পারতাম না। হৃদয় কয় কি মা আমারডা আমি করমু, তোমার করা লাগবো না। তুমি মাঝে মাঝে খালি আদার-পানি দিও। এরপর বাসায়ই থাকল। আছরের আজান দিল, নামাজ পড়বো, গেলগা বাইরে। খুচরা সওদাপাতি কিনতে আমিও ওর লগে বাইর হইছি। বাসার সামনে এক দোকানে গিয়া ঠাণ্ডা দুধ খাইয়া কালশী মোড়ে শাকসবজি বিক্রীর দোকানের দিকে গেছে। আমি কই, মরারে ভয় পাই না। আমার তো বয়স হইছে মরে যাইতে পারি। কিন্তু তগো তো বয়স হয় নাই। তরা বাঁইচ্যা থাক। আমারতো বয়স হইছে, কই কি কালশী রোডে তরকারি-ভ্যান আর ক্যাশ বক্স রাইখ্যা দৌড়াইয়া কারো বাড়িতে ঢুইক্যা যাইস গা। কিছু নেওয়া লাগবো না। পুলিশে তো দৌড়াইতাছে। বইতে দিতো না। এর আগে পুলিশ দুইবার উডাইয়া দিছে।

মরিয়ম বলেন, আগের দিন মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশ ওর কাঁধে রাইফেলের বাঁট দিয়া বাড়ি মারছে। শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে দেখি ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়াইয়া কাঁধের পিছনে কালশিটে দাগটায় হাত দিয়া ঢলতাছে। অর কাছে গিয়া কইলাম, আমি মাইনষের থন শুনছি তুমি বৃহস্পতিবার মিছিলে ১০ নাম্বার গেছিলা।

আইজা কইলাম তোমারে শিকল দিয়া বান্দমু। আইজকা কোনহানে যাই বা না। বেকায়দায় পরলে কিন্তু বিপদ আছে। নিঃশ্বাসের কোন বিশ্বাস নাই। ও বলে, আমি একটা শক্তিশালী মানুষ,আমি বলে বেকায়দায় পরলে মইরা যামু,আমার মায় কি কয়?

তিনি বলেন, হৃদয় বাইরে দরকার ছাড়া বের হতো না। আমাকে আরাম দিয়ে নিজে রান্না করতো,ঘরদোর গুছাইতো। আমার যে সময় ঘরে থাকার কথা আমি সেইসময় থাকি বাইরে। কবরের সামনে গিয়া বইসা থাকি। কি আর করমু, দেহি ওরে, মনে শান্তি লাগে। রাইতে কান্দি। স্বপ্ন ছিল ছেলেডা একটা সরকারি চাকরি কইরবো, সবার কষ্ট শেষ কইরা দিবো। আমার আর ভাল লাগে না। আমার মনে হয়, আমি মইরা যাই। আমার কোনখানে শান্তি নাই।

 

হৃদয়ের বাবা সাইফুল ইসলাম ওরফে বিপ্লব হোসেন (৫০) বলেন, ফুটপাতে ভ্যান গাড়িতে শাক-সবজি বিক্রী করি। গত ১৮ জুলাই দিবাগত রাইত তিনটার সময় কারওয়ানবাজারে মাল আনতে গেছি । ভোরে আইস্যা ভ্যান গাড়িতে শাকসবজি সাজাইয়া সকালে দোকানদারি শুরু করছি। তখনও আমার ছেলে বাসায় ছিল। সকালে কোনদিন তাকে দোকানে দাঁড়াইয়া বেচাকেনা করতে দেই না।

তিনি বলেন, শুক্রবারে আমি তাকে বলি নামাজ পড়ে দোকানে আসতে, শরীরটা ভাল লাগছিল না সেদিন। বাসায় গিয়া ঘুমাতে চাইছিলাম। হৃদয় মিরপুরের ডি ব্লকে গিয়া সবসময় নামাজ পড়ে। বাসার সামনে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করে, আমি তারে কল দিয়া আসতে বলছিলাম। অন্যদিন ফোন দিলে লেট করে আসে,সেদিন কল দেওয়ার পরপরই দোকানের সামনে চইল্যা আসে।বাসার সামনের বাজারে সকালে বিক্রি হলেও বিকালের দিকে এসব এলাকায় শাকসবজির চাহিদা থাকে না, তাই বিকালে কালশীর মোড়ে যাইয়া দোকান বসাই।

বিপ্লব হোসেন বলেন, হৃদয় আমার কাছে এসে বলে, আব্বু তুমি বাসায় যাও। ওরে বললাম বাসায় গিয়া খাওয়া খাইয়া রেস্ট নিয়া দোকানে আয়। আমি বিকাল সাড়ে তিনটা চারটার দিকে বাসায় দরজা খুলে দেখি হৃদয় মেঝেতে লম্বা হইয়া শুইয়া রইছে। দুইতিন দিন ধইরা তার মনডা খারাপ ছিল। কি জানি ভাবে। আমি খাওয়া খাইয়া ভাবলাম ওর সাথে কথা বলি কেনো ওর মন খারাপ। পরে ভাবলাম কথা বলতে গেলে সময় লাগবো, রাতে বলবো। সেদিন মিরপুরে অনেক গোলাগুলি আর গণ্ডগোল চলছিল। কালশীতে পুলিশ সবাইরে ধাওয়া করতেছিল। বিকাল পাঁচটার দিকে ও বের হওয়ার সময় ওরে সাবধান কইরা দিলাম। সেই শেষ ওর মুখের দিকে তাকানো। আমি শুয়েছিলাম। ও যখন ভ্যান নিয়া কালশীর দিকে যাইতেছে তখন ওর মামী ওরে বলছে ঝামেলার কথা। ও শুনে বলছে, আমারে বাধা দিও না। আমি যাই, না গেলে আব্বায় রাগ করবো।

বিপ্লব ডুকরে কেঁদে ওঠে বলেন, আমারে ফোন দিয়া ওর মামী বললো, ‘হেরে কালশীর দিকে যাইতে দিয়েন না। সুযোগ পাইলে কিন্তু আন্দোলনে চইল্যা যাইবো’। আমি বললাম,‘নতুন কর্মচারীর কাছে দোকান ফালাইয়া আন্দোলনে গেলে ওর খবর আছে’।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এর আগে কয়েকদিন সে আন্দোলনে গেছে। দুপুরেই চইল্যা আইস্যা সময়মতো দোকানে আমার সামনে দাঁড়াইছে। আমাকে ধরা দেয় নাই। আমি তিন থেকে চার ঘন্টা ঘুমাই। ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করে, খরচে কুলাইতে পারি না তাই অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়।

 

তিনি বলেন, পাঁচটার পর হৃদয় কালশীর মোড়ে দোকান নিয়া যায়। পুলিশের ধাওয়া খাইয়া দোকান একটা বাড়ির ভেতরে দিয়া বের হইয়া যায়। ওর মৃত্যুর পর জানতে পারি সে সময় আন্দোলনে যাইতে কয়েকজন বন্ধু তারে কল দিছিল। সন্ধ্যা ছয়টা সাড়ে ছয়টার দিকে আমাকে হৃদয়ের মা ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়ে বলে, ১০ নম্বরে অনেক গোলাগুলি হইতেছে, আপনি যান আর হৃদয়রে বাসায় পাঠান। আমি ধরফড়াইয়া উঠি। কালশী গিয়া দেখি গাড়ি জায়গায় নাই। পরে কর্মচারীসহ ভ্যানটা পাই। এ সময় শুনতে পারি হৃদয় মোবাইলে কথা বলতে বলতে চলে গেছে। আরো শুনি ১০ নম্বরে পুলিশের গোলাগুলিতে হৃদয় গুলি খাইছে। আমি শুনে বললাম, এই এলাকায় কয়েকজন হৃদয় আছে। বিশ্বাস করি নাই কিছুতে আমার হৃদয় নাই।

তিনি জানান, শুনলাম লোকে বলাবলি করতাছে, তার এক বন্ধু হৃদয়কে নিয়া সোহরাওয়ার্দীতে যায় ।

কান্না করতে করতে তিনি বলেন, আমি কিভাবে বিশ্বাস করবো, কিভাবে শিওর হবো যে হৃদয় আর নাই। একঘন্টা আগেও ও দোকান করছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতালে যায়া দেখি হাসপাতালের মর্গের ভেতরে আলুর বস্তার মতো একটার ওপর একটা লাশ ফিক্কা (ছুঁড়ে) মারতেছে। হৃদয়ের বন্ধু ওর লাশ কোলে করে বসেছিল। বলছিল মর্গে আমি লাশ দিমু না, ওগোরে বলছি হৃদয়ের আত্মীয়-স্বজন আসবে, তারপর লাশ নিয়ে যাবো।

তিনি জানান, হৃদয়ের পিছনে একটা গুলি লাগছে, সেইটা কলিজায় আঘাত লেগে সামনে দিয়া বের হয়ে গেছে। দুই হাতে অসংখ্য ছররা গুলির আঘাত। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায় সে। ওর লাশ যখন নিয়া আসে তখন বাসার সামনে শুধু রাস্তাভর্তি মানুষ আর মানুষ। কেবল একটা কথাই শুনি ‘হৃদয় মারা গেছে,হৃদয় মারা গেছে।’

হৃদয়ের বাবা সে সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে হৃদয় মারা যাওয়ার ঘোষণা দিলে এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ আমাদেরকে সে সময় অনেক হুমকি দেয় এবং হৃদয়ের লাশ ধোয়ানো ও জানাজা পড়ানোর সুযোগ দিচ্ছিল না। রাত সাড়ে দশটার সময় ১২ নম্বরের ডি ব্লকের যেখানে হৃদয় নামাজ পড়তো সেখানকার ইমাম সাহেব নিজে গোসল করায়ে জানাজা করায়। ১২ টার থেকে কারফিউ ছিল, রাস্তায় কোন মানুষ নাই, আকাশে একটা হেলিকাপ্টার চক্কর দিতে থাকে আর টর্চ লাইট জ্বালাতে থাকে বারবার। এখানে বাসার সামনে জানাজা দেওয়ার সময় রাত সাড়ে বারোটায় পুলিশের গাড়ি আসে। দশ থেকে পনেরো মিনিটের মধ্যে জানাজা শেষ করার নির্দেশ দেয়। এক হাজারের ওপর লোক জানাজায় জমায়েত হইছে।

তিনি বলেন, কালশি কবরস্থানে হৃদয়ের কবর দিয়া আসা পর্যন্ত হেলিকাপ্টার আমাদের সাথে সাথে আসছে। সবাই বলছিল এই ছেলের জন্ম ও মৃত্যুর কথা। কোন মানুষ বলে নাই যে হৃদয় খারাপ ছিল।

 

বিপ্লব বলেন, ‘হৃদয়ের মৃত্যুর দুইদিন পর বাপ্পি কাউন্সিলারের কাছে আমারে নিয়ে গেছে। বলছে শেখ হাসিনার কাছে সাক্ষাৎ করিয়ে দেবে আমারে, দশলাখ টাকার এফডিআর করে দিবে বলে জানায়। ছেলেরা বলে, আমাকে বলতে হবে আমার ছেলে যুবলীগের কর্মী, ওদের আন্দোলনে গিয়া আমার ছেলে শহিদ হইছে। আমি কাউন্সিলরের কথায় রাজি হই নাই। বলছি, আমার সামনে তো ছেলে মারা যায় নাই, কিভাবে মিথ্যা কথা বলবো? আমার ছেলে ব্যবসা করতো, লেখাপড়া করত, আমরা সাধারণ মানুষ, কর্ম কইরা খাই। হৃদয় কোন রাজনীতিতে জড়িত ছিল না।’[

সেদিনই মিরপুর মডেল থানায় হৃদয়ের বাবাকে ডেকে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ওসি আমারে কইলো, আমারে বলতে হবে বিএনপি-জামাত মিলে আমার ছেলেরে হত্যা করছে। সে ছাত্রলীগের কর্মী ছিল, তারা গুলি কইরা মারছে।

বিপ্লব বলেন, হৃদয় মারা যাওয়ার পর অনেক হুমকি ধামকির শিকার হইছি। আমাদের বাসায় সারজিসসহ অনেকে আসছিল সান্ত্বনা দিতে।

তিনি বলেন, অনেক স্বপ্ন ছিল হৃদয় বুড়া বয়সে আমাদের দেখবে। তার দুই বোনকে বিয়া দিবে। হৃদয় নাই, জানি না কিভাবে জীবনে বাঁচমু, আমাগো সব স্বপ্ন হৃদয় নিয়া গেছে।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
জিয়া চিরদিন মানুষের হৃদয়ের মাঝেই বেঁচে থাকবেন : রিজভী বিএনপির সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের বক্তব্যের প্রতিবাদ জামায়াতের নির্বাচন হলেই সঙ্কট কেটে যাবে : ফখরুল সাভারে বাংলাদেশ বেতারে টেন্ডার জমাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ প্রধান উপদেষ্টার সাথে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ বগুড়ায় চরাঞ্চলে যুবদলের শীতবস্ত্র বিতরণ বছরের প্রথম ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪৭২৩ কোটি টাকা বরিশালে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন নাম পুনর্বহাল দাবিতে মানববন্ধন আমরা এখনো শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা গঠন করতে পারিনি : মাসুদ হোসেন কুলাউড়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মারধরে নারী নিহত, গ্রেফতার ১

সকল