২০২৪ সালকে বিশ্বের উষ্ণতম বছর হিসেবে চিহ্নিত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:০২
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) শুক্রবার নিশ্চিত করেছে, ২০২৪ সাল রেকর্ডের সবচেয়ে উষ্ণ বছর, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
শনিবার তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ছয়টি ভিন্ন আন্তর্জাতিক তথ্য তালিকার ওপর ভিত্তি করে দেখা গেছে, বৈশ্বিক গড় পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রি-ইন্ডাসট্রিয়াল বেইসলাইন বা প্রাক-শিল্প ভিত্তিরেখার (১৮৫০-১৯০০) চেয়ে এক দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপরে ছিল, যার অনিশ্চয়তার সীমা ছিল ± শূন্য দশমিক ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই তথ্য সম্ভবত প্রথম ক্যালেন্ডার বছরের ইঙ্গিত দিচ্ছে যেখানে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প স্তরের চেয়ে এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৪ দশমিক সাত ডিগ্রি ফারেনহাইট) ওপরে ছিল। এটি বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমিত করার লক্ষ্যে প্যারিস চুক্তির একটি প্রতীকী সীমা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
এই অনুসন্ধানগুলো দশকব্যাপী রেকর্ড-ভঙ্গকারী তাপমাত্রার প্রবণতা তুলে ধরে, যেখানে গত ১০ বছরই রেকর্ড করা সবচেয়ে উষ্ণতম বছরের মধ্যে স্থান পেয়েছে।
ডব্লিউএমওয়ের মহাসচিব সেলেস্তে সাউলো পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ুর ইতিহাস আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠছে। উষ্ণায়নের এই অসাধারণ ধারা বিধ্বংসী ও ভয়াবহ আবহাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং বরফ গলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এসব কিছুই রেকর্ড পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে ঘটেছে।’
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই অনুসন্ধানগুলোকে ’শীতল ও কঠিন সত্য‘ বলে অভিহিত করেন। তিনি এ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালে তীব্র তাপমাত্রার জন্য ২০২৫ সালে জলবায়ু পরিবর্তনে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। জলবায়ু বিপর্যয় এড়ানোর জন্য এখনো সময় রয়েছে। তবে বিশ্ব নেতাদের এখনই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।’
২০২৪ সালে ভয়াবহ তাপদাহের সাথে ছিল অভূতপূর্ব জলবায়ু প্রভাব। এর মধ্যে ছিল ঘন ঘন এবং তীব্র ‘চরম’ আবহাওয়ার ঘটনা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বরফ গলে যাওয়া।
সেলেস্তে সাউলো বলেন, ’উষ্ণায়নের প্রতিটি বৃদ্ধি আমাদের গ্রহের ওপর প্রভাব ফেলে। একটি নির্দিষ্ট বছরে উষ্ণতা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে বা নিচে থাকুক না কেন, এর প্রবণতা স্পষ্ট। আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করতে হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা