১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬
`

সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার, গ্রেফতারের নির্দেশ

- ছবি - ইউএনবি

দেশে যেকোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জিরো টলারেন্স নীতির পুনরাবৃত্তি করে এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে। একইসাথে সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।

আজ শনিবার একটি পুলিশ প্রতিবেদন তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এই কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ধর্ম-বর্ণ-জাতি, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

সাম্প্রদায়িক হিংসার অভিযোগ পেতে পুলিশ একটি হোয়াটসঅ্যাপ খুলেছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

জাতীয় জরুরি পরিষেবা যখনই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে ৯৯৯ হেল্পলাইন নম্বরে জানানো হয়, ঠিক তখনি একটি কাছাকাছি বাহিনীকে সংযুক্ত করে পুলিশ সদর দফতর।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ সব ধরেনের অভিযোগের সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর এক হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

কাউন্সিল বলেছে, এসব হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাগুলোর মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পত্তি ও উপাসনালয়ে দুই হাজার ১০টি ঘটনা রয়েছে।

কাউন্সিলের তৈরি করা অভিযোগের তালিকা হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

সহিংসতার শিকার বলে দাবি করা ব্যক্তি এবং কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে পুলিশ।

কাউন্সিলের রিপোর্টে উল্লেখিত সকল স্থান, স্থাপনা পরিদর্শন ও ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করেছে পুলিশ।

সমস্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নির্যাতিত মানুষের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী নিয়মিত মামলা, সাধারণ ডায়েরিসহ অন্যান্য যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে সাম্প্রদায়িক হামলা ও দাবির বিষয়ে পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে, এক হাজার ৭৬৯টি অভিযোগের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬২টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

এতে বলা হয়, তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে কমপক্ষে ৩৫ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হামলাগুলো সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না, বরং তা ছিল রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার।

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এক হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক কারণে হয়েছে এবং ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কমপক্ষে ১৬১টি দাবি মিথ্যা বা অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের রেকর্ডের পরিসংখ্যান ড. ইউনূসের ৫ মামলা বাতিলে আইনি দুর্বলতা পাওয়া যায়নি : আপিল বিভাগ ভ্যাট অধ্যাদেশ প্রত্যাহার ও টিসিবির ট্রাক-সেল চালুর দাবি নাগরিক কমিটির বিদেশে টাকা পাচারকারিরা এখনো প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে : প্রেস সচিব ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যোগ দিলেন ‘ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত’ ট্রেসি অ্যান ৫ আগস্টের পর যেমন আছে ত্রিপুরার সীমান্তবাসীরা কুষ্টিয়ায় ড্রাম ট্রাক চাপায় নিহত ১, আহত ৩ শীত ঝড়ের কারণে আমেরিকাতে ৩ হাজার ফ্লাইট বাতিল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাইপাস বন্ধের দাবি যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগেই লেবানন থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের ওপর বেশির ভাগ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : পুলিশ প্রতিবেদন

সকল