০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬
`

ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে জোরাল অভিযানের সিদ্ধান্ত

অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার - ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজের সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঢাকার যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনা ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকটি হয়।

সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) জানান, মাঠ পর্যায়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে চার হাজার ২০০ জন পুলিশ সদস্য ও ৬০০ জন ছাত্র প্রতিনিধিকে নিয়োজিত করা হয়েছে।

গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪৫ হাজার ৪৫৭টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, পাঁচ হাজার ৯৭৯ পায়েচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গের জন্য ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৫ টাকা জরিমানাসহ এক লাখ ৩৯ হাজার একটি মামলা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে ঢাকা শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাইলট আকারে ঢাকা শহরের চারটি ইন্টারসেকশনে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের ফলাফলের আলোকে আগামী চার মাসের মধ্যে আরো ১৮টি ইন্টারসেকশনে দেশীয় প্রযুক্তির ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো: খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ইতোমধ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।’ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হলে প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও তিনি সড়কে যানবাহন চলাচল উন্নয়নের জন্য সিটি করপোরেশন চলমান প্রয়োজনীয় রোড মার্কিং, ট্র্যাফিক সাইন এবং বাস স্টপসমূহে যথাযথভাবে মার্কিং কাজ অতি শিগগির সম্পন্ন করতে বলেন।

তিনি যানজটের কারণ পর্যবেক্ষণ ও সমাধানের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নেতৃত্বে কমপক্ষে ছয়টি এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে দু’টি ট্র্যাফিক মনিটরিং টিম গঠনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়াও মো: খোদা বখস বাস স্টপেজে বাস থামার বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে নির্দেশনা দেন।

জনসাধারণের ভোগান্তি কমানোর উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সকল অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের চলমান অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঢাকা শহরের প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই নীতিমালা প্রণয়ন করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়।

এছাড়া, শিগগিরই ঢাকা শহরে ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর জন্য সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো: খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)-এর প্রতিনিধি ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement