০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩০, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

বছরের শেষ মাসে ৬ বিমান দুর্ঘটনা, নিহত কত

বছরের শেষ মাসে ৬ বিমান দুর্ঘটনা - সংগৃহীত

ডিসেম্বর মাস শেষ হতে এখনো এক দিন বাকি। কিন্তু বছরের শেষ মাসে মাত্র ৩০ দিনেই ছয়টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটল বিশ্বের নানা প্রান্তে। এই বিমান দুর্ঘটনাগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৬ জন।

রোববারই দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ানে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জেজু এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান। এই বিমান দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৭৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।

গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুর্ঘটনার মুখে পড়ে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ইআরজে-১৯০ বিমান। সেটির গন্তব্য ছিল রাশিয়া। স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫৫ মিনিটে বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজনির উদ্দেশে সেটি রওনা দিয়েছিল। কাজাখস্তানের আকতুতে কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব উপকূলে আচমকা বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঘন কুয়াশার কারণে সেটির পথ ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছিল। কাজাখস্তানের বিমানবন্দরে তার জরুরি অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু অবতরণের আগে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। রুশ সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়, একঝাঁক পাখির সাথে ধাক্কা খেয়ে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী আজারবাইজান এয়ারলাইনসের বিমানটিকে মিসাইলের আঘাতে কাজাখস্তানে ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে আজারবাইজানের তদন্ত কমিটি। তবে এখনো দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।

গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ ব্রাজিলের পর্যটন শহর গ্রামাদোতে ১০ জন যাত্রী নিয়ে ধস হয় একটি বিমান। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় বিমানের সব যাত্রীর। যাত্রিবাহী বিমানটি প্রথমে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাড়ির চিমনিতে ধাক্কা মারে। এর পর আরো একটি বাড়ির দোতলায় গিয়ে দ্বিতীয়বার ধাক্কা খায় সেটি। শেষে বিমানটি একটি দোকানের ওপর হুড়মুড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তে আগুন ধরে যায় সেটিতে।

একই দিনে পাপুয়া নিউ গিনিতে একটি বিমান ধসে পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনার কারণ এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার সান ফার্নানদো বিমানবন্দরের কাছে একটি বিমান গাছে এবং পাঁচিলে ধাক্কা খায়। তার পরেই আগুন লেগে যায় বিমানটিতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বিমানের দুই পাইলটের। ১৭ ডিসেম্বর হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের হনুলুলু বিমানবন্দরের কাছে একটি পণ্যবাহী বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। কী কারণে বিমানটি ধস হয়, তা এখনো স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে, পাইলটদের প্রশিক্ষণ চলার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

বিমানগুলো ধসের নেপথ্যে কোথাও প্রতিকূল আবহাওয়া, কোথাও প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে দ্বন্দ্ব রইলেও সকলেই একটি বিষয়ে একমত যে ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আরো সুরক্ষাবিধি প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও রয়টার্স


আরো সংবাদ



premium cement