কাকরাইল মসজিদে বড় জমায়েত নিয়ে সাদপন্থীদের জুমার নামাজ আদায়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:২৭, আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:০৯
দেশের তাবলিগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদে আজ বড় জমায়েত নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করলেন দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।
আজ সকালে কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে প্রবেশ করে সাদপন্থীরা। এ কারণে ভোর থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নামাজ শুরু করা হয় এবং সাড়ে ১২টায় শেষ হয়ে যায়।
সাদপন্থীরা সকাল থেকেই কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে এবং আশেপাশে অবস্থান নেন তারা। সাদপন্থীদের অবস্থানের কারণে কাকরাইল মসজিদের আশপাশের রাস্তায় যানচলাচল সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
গত কয়েকদিন ধরে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হচ্ছে। দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে।
জানা গেছে, কাকরাইল মসজিদে নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষ হওয়ায় তাবলীগ জামাতের বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রক পর্ষদ ‘শূরায়ে নেজাম’-এর অনুসারীরা সকালে মসজিদ থেকে সরে যান।
রমনা জোনের ডিসি গণমাধ্যমে জানান, ‘শূরায়ে নেজাম’-এর অনুসারীরা চার সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন। আজ তারা অবস্থান ছেড়ে দিয়েছেন। এখন দুই সপ্তাহ অবস্থান করবেন সাদপন্থীরা।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন কোনো অবনতি না ঘটে, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শান্তিপূর্ণভাবে বের হয়ে যান শূরায়ে নেজামপন্থীরা, তারপর সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করেন সাদপন্থীরা।
গত ৪ নভেম্বর সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা দুই দফায় আয়োজিত হবে। প্রথম দফার ইজতেমা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফায় শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।
তবে ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে শূরায়ে নেজামপন্থীরা বলেন, ‘দেশে ইজতেমা একবারই হবে, দু’বার নয়। টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদে দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারীদের আর ঢুকতে দেয়া হবে না।’
২০১৭ সালের নভেম্বর দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ নেয়। সেদিন কাকরাইলে দু’দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর গত সাত বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে ‘শূরায়ে নেজাম’ এর অনুসারীরা চার সপ্তাহ ও সাদপন্থীরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তবে মসজিদের অপর অংশে ‘শূরায়ে নেজাম’ এর অনুসারীরা ১২ মাসই থাকেন।