২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইইউর তদন্তের মুখে চীনের বিপুল সংখ্যক অনলাইন বিক্রেতা

ইইউর তদন্তের মুখে চীনের বিপুল সংখ্যক অনলাইন বিক্রেতা - সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাহী শাখা বলেছে, চীনের অনলাইন খুচরা বিক্রেতা টেমু বেআইনি পণ্য বিক্রি রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সন্দেহে তদন্ত শুরু করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার তারা এ তথ্য জানায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন টেমুকে ‘বিশাল বড়’ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের তালিকাভুক্ত করেছে। এর পাঁচ মাস পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের তদন্ত শুরু করেছে। এই গোষ্ঠীর ডিজিটাল পরিষেবা আইন মোতাবেক এই তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলো নিয়ে কঠোর পর্যায়ের তদন্তের প্রয়োজন হয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে সাফাই করতে ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে বিবিধ বিষয় সম্বলিত এই অনুশাসনমালা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশাল অঙ্কের জরিমানার হুমকিও রয়েছে।

মাত্র দু’বছর আগে পাশ্চাত্যের বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে টেমু এবং কাপড় থেকে গৃহস্থালির সামগ্রীর মতো পণ্য সস্তায় বিক্রি করে তারা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই পণ্যগুলো চীনের বিক্রেতারা চালান দিয়ে থাকে। চীনের জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট পিনদুয়োদুয়ো ইনকরপোরেটেডের মালিকানাধীন এই সংস্থার বর্তমানে ৯০ কোটি ২০ লাখ ভোক্তা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে।

টেমু বলেছে, তারা ডিএসএ-এর অধীনে তাদের দায়গুলো গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে।’

তারা আরো যোগ করে, ‘আমাদের কর্মসূচিকে মজবুত করতে ও আমাদের প্ল্যাটফর্মে ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে আমরা ক্রমাগত বিনিয়োগ করছি।’

এই সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘উপভোক্তাদের জন্য নিরাপদ, বিশ্বস্ত বাজারের যৌথ লক্ষ্য পূরণ করতে আমরা নিয়ামকদের সাথে পূর্ণ সহযোগিতা করব।’

ইউরোপিয়ান কমিশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্গারেট ভেস্তাজার এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছেন, টেমুর প্ল্যাটফর্মে বিক্রিত পণ্য ইইউ-এর স্ট্যান্ডার্ড পূরণ করছে কি না ও ভোক্তাদের কোনো ক্ষতি করছে কি না তা নিশ্চিত করতে চায় ব্রাসেলস।

বাতিল করার পর তারা দ্রুত হাজির হতে পারে, এই উদ্বেগের মধ্যে কমিশন তদন্ত করে দেখবে, ‘দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ীদের’ বেঠিক পণ্য বিক্রি রুখতে টেমুর ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না। এই প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হওয়া কোনো নির্দিষ্ট বেআইনি পণ্যের কথা আলাদা করে বলেনি কমিশন।

টেমুর ‘আসক্তিজনক’ কৌশলের (যেমন গেমের মতো পুরস্কারের টোপ) ঝুঁকিও পরীক্ষা করছে নিয়ামকরা। এই ঝুঁকি প্রশমিত করতে সংস্থাটি কী করছে তাও জানতে চায় তারা।

ডিএসএ-এর দু’টি শর্ত টেমু মানছে কিনা তা নিয়েও তদন্ত চলছে। এই শর্তগুলো হলো, গবেষকদের তথ্য লাভের সুযোগ দেয়া এবং সুপারশিকারী সিস্টেমের ব্যাপারে স্বচ্ছতা।

টেমুর এখন কমিশনকে জবাব দেয়ার সুযোগ রয়েছে। সংস্থাটি যদি বদল নিয়ে আসে বা প্রমাণ করতে পারে যে, সন্দেহটি অবৈধ তাহলে তাদের ওপর জরিমানা চাপানো হবে নাকি মামলাটি বাতিল করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশন।

টেমু যুক্তরাষ্ট্রেও তদন্ত ও পরীক্ষার মুখে পড়েছে। গত বছর কংগ্রেসের এক প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়, সংস্থাটি তাদের প্ল্যাটফর্মে কাজে বাধ্য করা শ্রমিকদের তৈরি পণ্য রুখতে ব্যর্থ।
সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement